বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) চর্চিত ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন হলেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। কর্মজীবনের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবনের জন্যেও একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না টলিউডের ‘মহানায়িকা’র। প্লাস্টিক সার্জারি (Plastic Surgery) নিয়েও বহুবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন তিনি।
বিনোদন দুনিয়ার মানুষদের কাছে প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়টি একেবারেই নতুন নয়। নায়িকারা তো বটেই, বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বহু নায়কও প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন। টলিউডের বহু নায়িকার নামও এই তালিকায় রয়েছে। শোনা যায়, নুসরত জাহানও নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্লাস্টিক সার্জারির ওপরেই আস্থা রেখেছেন।
নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, নুসরতের হঠাৎ করে এত সুন্দর হওয়ার পিছনে আসলে প্লাস্টিক সার্জারির কারসাজি রয়েছে। নাক কেটে সরু, ঠোঁট কেটে মোটা করেছেন তিনি। ‘প্রমাণ’ হিসেবে অনেকে আবার ‘মহানায়িকা’র পুরনো ছবিও তুলে ধরেছেন। তবে সত্যি কি তাই? এত বছর পর ‘প্লাস্টিক সার্জারি’ বিতর্কে মুখ খুললেন টলি ডিভা নিজে।
এই প্রথমবার অন ক্যামেরা খোলাখুলিভাবে প্লাস্টিক সার্জারি করানো নিয়ে মুখ খোলেন নুসরত। অবশ্য শুধুমাত্র প্লাস্টিক সার্জারিই নয়, বডি শেমিং থেকে শুরু করে সন্তানের জন্ম- সবকিছু নিয়ে কথা বলেন তিনি। নিজের টক শো ‘ইশক উইথ নুসরত’এ এই বিষয়ে মুখ খোলেন টলি সুন্দরী।
প্লাস্টিক সার্জারি করানো নিয়ে নুসরত সাফ বলেন, অনেকেই ভাবেন আমি নিজের নাকের সার্জারি করেছি। তাঁদের বলে রাখি, আমি কোনও ধরণের সার্জারি করাইনি। বরং হরমোনাল তারতম্যের কারণে আমার নাক বড় হয়ে গিয়েছিল। আমার ত্বকও টু-টোন হয়ে গিয়েছিল। তবে সন্তানের জন্মের পর আমি আস্তে আস্তে ফের আগের জায়গায় ফিরে আসছি।
নুসরতের সংযোজন, আমি নাকের জন্য যেভাবে ট্রোলড হয়েছি তখন যদি আমার মানসিক জোর না থাকতো তাহলে হয়তো পারতাম না। তবে এতকিছুর পরেও হার মানতে নারাজ টলি সুন্দরী। আত্মবিশ্বাসের সুরে ‘মহানায়িকা’ বলেন, এটা আমার জীবন। আমি যা করেছি একেবারে ঠিক করেছি। এটা আমার জীবন আমি নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।