এই মুহূর্তে টলিউডের ব্যস্ততম অভিনেত্রীদের (Tollywood actress) নামের তালিকা যদি প্রস্তুত করা হয় তাহলে সেখানে নিঃসন্দেহে নাম থাকবে মধুমিতা সরকারের। ছোট পর্দা থেকে কেরিয়ার শুরু হয়েছিল অভিনেত্রীর। আর এখন বড়পর্দা এবং ওয়েব দুনিয়ার পরিচিত মুখ। একের পর এক প্রোজেক্ট আসছে মধুমিতার (Madhumita Sarcar)।
‘বোঝে না সে বোঝে না’ ধারাবাহিকের পাখি অবশ্য এখন শুধুমাত্র টলিউডেই আটকে নেই, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির গণ্ডি পেরিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ করে ফেলেছেন তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতেও। সেই প্রোজেক্টের জন্য ওজন বাড়িয়েছিলেন, শিখেছিলেন মার্শাল আর্টস। টলিউড-সাউথের পর এবার পালা বলিউডের।
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় নিজের কেরিয়ার, আসন্ন প্রোজেক্ট, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খোলেন মধুমিতা। অভিনেত্রীর কথায়, তিনি শুধুমাত্র বাংলায় নয়, বাংলার বাইরেও কাজ করতে চান। অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে, অন্য ভাষায়। এরপরই পর্দার ‘পাখি’ জানান, ‘দিলখুশ’ রিলিজ হওয়ার পর তিনি নিজের হিন্দি প্রোজেক্ট নিয়ে কথা বলতে যাবেন।
মধুমিতার কথায়, ‘সব রকম দিক থেকে আমি নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করছি। নিজে খুব একটা কোথাও চেষ্টা করছি না। তবে বাইরে থেকে তেমন কোনও সুযোগ যদি আসে আমি ঝাঁপিয়ে পড়ব। আমার একটা হিন্দি কাজও হওয়ার কথা রয়েছে। ‘দিলখুশ’ রিলিজ করার পর আমি কথা বলতে যাব’।
বলিউডে কাজ করা বাকি থাকলেও, ইতিমধ্যেই তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে ফেলেছেন মধুমিতা। সেখানে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? অভিনেত্রীর কথায়, ‘একটা ভিন্ন জগৎ। মার্শাল আর্টস শিখতে হয়েছে। সেই জন্য অনেকটা ওজন বাড়াতে হয়েছিল। এই বিষয়টা শিখতে দারুণ লেগেছে। আর ওঁরা সময় নিয়ে কাজ করে। আমায় এক মাসের সময় দিয়েছিল মার্শাল আর্টস শেখার জন্য’।
সাক্ষাৎকারের শেষে ‘চিনি’ অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয় তাঁর প্রেম জীবন নিয়ে। সাম্প্রতিক অতীতে অভিনেত্রীর নাম জড়িয়েছিল তাঁর ‘কুলের আচার’ ছবির সহ-অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মধুমিতা নিজের প্রেমজীবন নিয়ে কী বলবেন? তিনি কি এখনও সিঙ্গেল? জবাবে পর্দার ‘পাখি’র সাফ জবাব, ‘আমি আমার কাজের সঙ্গে কমিটেড। আর বিশ্বাস করুন, আই হেট ম্যান (আমি পুরুষ মানুষদের ঘেন্না করি)’।