রোজ সকালেই কলকাতাবাসীর ঘুম ভাঙছে কোনোও না কোনও মৃত্যু সংবাদে। আর আশ্চর্যজনক ভাবে গত ১০ দিনের মধ্যে একই রকম ভাবে মারা গিয়েছেন পর পর দুইজন অভিনেত্রী৷ গড়ফা থেকে ১৫ই মে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পল্লবীর মৃত্যুর ঠিক ১০ দিনের মাথায় গতকালকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে আরও এক মডেল অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের (Bidisha Dey Majumder) । আর এবার আজ আত্মঘাতী হলেন প্রয়াত বিদিশার বন্ধু মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi)।
শুক্রবার সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ৷ কলকাতায় প্রায় পর পর তিনটে মডেল অভিনেত্রীর মৃত্যুতে কার্যত ভয়ে কাঁটা টলিপাড়া৷ পরিবার সূত্রে খবর, বান্ধবী বিদিশার মৃত্যু মানতে পারেননি মঞ্জুষা৷ অবসাদে ভুগছিলেন মৃত্যু সংবাদ জানার পর থেকেই, আর তার জেরেই বুঝি এই কাজ করেছেন মঞ্জুষা।
উঠতি মডেল অভিনেত্রী হিসাবে বেশ পরিচিত ছিলেন বিদিশা। মাত্র ২১ বছর বয়স হয়েছিল অভিনেত্রীর। দমদমের নাগের বাজার এলাকায় ফ্ল্যাটে থাকতেন। একা নয় শুরুতে মা বাবার সাথেই থাকতেন বিদিশা, আড়াই মাস আগেই ভাড়া এসেছিলেন। সেখান থেকেই গতকাল উদ্ধার হয় অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ। বিদিশার মৃত্যুর ঠিক ২৪ ঘন্টার মাথাতেই উদ্ধার হল তার বান্ধবী মঞ্জুষা দে’র দেহ।
পরপর তিনটে একই রকম মৃত্যুতে ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য। মনে করা হচ্ছে, সম্পর্কের জটিলতা, অবসাদ থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন অভিনেত্রীরা। তদন্ত চলছে। মঞ্জুষার পরিবার আরও জানায়, দিন তিন-চারেক আগে পাটুলিতে বাপেরবাড়িতে এসেছিলেন মঞ্জুষা। বৃহস্পতিবারও ফটোশ্যুট করেছেন তিনি। তার স্বামী তাকে নিতে এলেও তিনি বাপের বাড়িতেই ছিলেন তার মধ্যেই বান্ধবী বিদিশার মৃত্যু সংবাদ পান তিনি।