আজ ২৯ শে সেপ্টেম্বর, টলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা তাপস পালের ৬৩ তম জন্মদিন৷ কিন্তু এইদিনেও বিষাদের সুর টলিপাড়ায়। কেননা ২০২০ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী প্রয়াত হন অভিনেতা। তবু তিনি না থাকলেও আজীবন বাঙালির মনে রয়ে যাবে তাঁর অভিনীত দুর্দান্ত কিছু ছবি৷ দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘সাহেব’, ‘গুরু দক্ষিণা’-এর মতো সুপারহিট ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসনীয়।
আজ তাঁর জন্মদিনে Bong Trend – স্মরণ করবে তাঁকেই। ১৯৫৮ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর চন্দননগরে জন্ম হয় অভিনেতার। অভিনয়ের পাশাপাশি লেখাপড়াতেও বেশ মেধাবী ছিলেন অভিনেতা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়ো-মেডিক্যালে স্নাতক পাশ করেন তাপস পাল।
তরুণ মজুমদারের ‘দাদার কীর্তি’ ছবি দিয়েই শুরু হয়েছিল তাঁর টলিউডে অভিনয়ের যাত্রা। তবে মজার ব্যাপার, তাপস পালের সহযাত্রী হিসেবে ট্রেনে উঠেছিলেন ‘দাদার কীর্তি’ ছবির সহকারী পরিচালক শ্রীনিবাস চক্রবর্তী। জহুরি যেমন হীরা চিনতে ভুল করেননা, তেমনই সেদিন এক দেখাতেই বাংলার অন্যতম প্রতিভাবান নায়ককে খুঁজে নিয়েছিলেন পরিচালক।
বাংলার পাশাপাশি হিন্দী ছবিতেও নজর কেড়েছিলেন অভিনেতা। ১৯৮৪-তে হিন্দি ছবিতে ডেবিউ করেন তাপস পাল। নায়িকা ছিলেন মাধুরি দীক্ষিত । ছবির নাম ছিল ‘অবোধ’। অভিনয় জীবনের পরে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতেও। ২০০১ থেকে টানা ২০০৯ পর্যন্ত আলিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। তারপর ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কৃষ্ণনগরে সাংসদ পদে নির্বাচিত হন অভিনেতা।
জন্মদিনে তাপস পালের সহ অভিনেতা তথা টলিউডে ইন্ডাস্ট্রির বিখ্যাত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prasenjit Chatterjee) পুরোনো দিনের কিছু স্মৃতি শেয়ার করে তাঁর শিল্পীসত্তার প্রশংসা করেছেন। অভিনেতার সাথে ছবি শেয়ার করে প্রসেনজিৎ লিখেছেন, ‘‘দাদার কীর্তি’ হোক বা ‘গুরুদক্ষিণা’… ‘নয়নের আলো’ বা ‘ত্যাগ’… তাপসের প্রতিটা সিনেমা তার অসাধারণ শিল্পীসত্তা তুলে ধরেছে আমাদের সামনে’। ইতিমধ্যেই সেই ছবি ভাইরাল হয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অসংখ্য অনুগামীরা প্রসেনজিতের কথার সাথে একমত হয়েছেন। বিশেষত দাদার কীর্তি ও গুরুদক্ষিণা সিনেমা যে আজও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়ে গেছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে দর্শকদের মতামত দেখলেই।