বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty) এবং মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। দু’জনেই নিজেদের অভিনয়ের মাধ্যমে টলিউডকে সমৃদ্ধ করেছেন। মিঠুন অবশ্য শুধুমাত্র বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই আটকে থাকেননি, বলিউডেরও পরিচিত মুখ তিনি। একসময় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন এই বঙ্গ তনয়।
মিঠুন এবং চিরঞ্জিত বাস্তব জীবনেও বেশ ভালো বন্ধু। তবে তাঁদের মধ্যে বিস্তর রাজনৈতিক পার্থক্য রয়েছে। দুই অভিনেতা দুই ভিন্ন দলের সঙ্গে যুক্ত। যদিও সম্প্রতি চিরঞ্জিত জানিয়েছেন, ভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশ হলেও তাঁদের মধ্যেকার বন্ধুত্বে কিন্তু কোনও ভাঙন ধরেনি। বরং তা এখনও অটুট রয়েছে। কিন্তু বন্ধুত্ব অটুট থাকলেও মিঠুনকে ‘মৃতপ্রায় স্টার’ বলে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি চিরঞ্জিত।
যদিও এই প্রথম নয়, কয়েক মাস আগে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মিঠুন চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রসঙ্গেও বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন চিরঞ্জিত। অভিনেতা বলেছিলেন, আপনি যদি আমায় গালাগাল দেন, তাহলে আমি নিশ্চয়ই আমার মেয়ের বিয়েতে আপনাকে নিমন্ত্রণ করব না। এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এক।
এবার ফের এক সাক্ষাৎকারে মিঠুনের সম্বন্ধে কথা বলার সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন চিরঞ্জিত। অভিনেতা বলেন, আমাদের পুরনো বন্ধুত্বে কোনও চির ধরেনি। তবে আমাদের মধ্যে আর কোনও কথ হয়নি। কিন্তু আমি এটাও জানি যে ও বুঝবে। আমি সর্বদা যুক্তিপূর্ণ কথাই বলি। আমি দেব হতে পারব না। আমি ওঁকে কোনও ছবিতেই নেব না যতক্ষণ পর্যন্ত ও বিজেপির হয়ে কাজ করছে। এটা আমার লজিক। ও অন্য দলের অংশ, ওকে প্রচার আমি কেন দেব?
এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, গত বছর প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ করেছিল দেব এবং মিঠুন অভিনীত ‘প্রজাপতি’ ছবিটি। সেই সময় এই সিনেমা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। যদিও দেব বলেছিলেন তিনি রাজনীতি এবং অভিনয় দুনিয়াকে এক করে দেখেন না। কাজের জায়গায় রাজনৈতিক কোনও রঙ দেখেন না তিনি। একই সুর শোনা গিয়েছিল ‘মহাগুরু’র গলাতেও।
যদিও চিরঞ্জিত এই প্রসঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করেন। অভিনেতা বলেন, দেব মিঠুনকে কোনও ছবিতে নিচ্ছে মানে মিঠুনের মুখে ২ লাখ পোস্টার পড়ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে মিডিয়া কভারেজ। এসব করে আমি ওঁকে আরও জনপ্রিয় হতে সাহায্য করছি। মিঠুন চক্রবর্তী তো একজন মৃতপ্রায় তারকা। ওঁকে নতুন জীবন দেওয়া হচ্ছে মানে খরচ দেবের আর সাহায্য বিজেপির। আমি এর বিরুদ্ধে কথা বলবই।