বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) এক নামী অভিনেতা হলেন বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। তিনি কাজ করেছেন বহু হিট ছবিতে। তবে দুর্দান্ত একজন অভিনেতার হওয়ার পাশাপাশি বনির আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি অভিনেতা সুখেন দাসের নাতি এবং পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত ও অভিনেত্রী পিয়া দাসের ছেলে। ছোট থেকেই অভিনয় জগতের নামী ব্যক্তিত্বদের মাঝেই বড় হয়েছেন বনি।
তবে স্টারকিড হলেও নিজের অভিনয় গুনের মাধ্যমে দর্শকদের মনে একটি বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন বনি। কেরিয়ারের শুরুর দিকে যেমন চরিত্রে অভিনয় করতেন এখন তার থেকে একেবারে অন্য রকম চরিত্রে অভিনয় করে তিনি প্রমাণ করেছেন কতটা ভার্সেটাইল অভিনেতা তিনি।
আগামী ২৫ অক্টোবর যেমন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে বনি, পরম্ব্রত চট্টোপাধ্যায় অভিনীত সাইকো হরর ঘরানার ছবি ‘জতুগৃহ’। সেই ছবি মুক্তির আগেই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কেরিয়ারের শুরু এবং এখনকার জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন, কতটা লড়াইয়ের পর সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি।
২০১৪ সালে ‘বরবাদ’ ছবির মাধ্যমে টলিউডে পা রেখেছিলেন বনি। এর আগে টলিপাড়ার নামী পরিচালক রাজ চক্রবর্তী সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ‘বরবাদ’এর হাত ধরে ডেবিউর পর ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোলে’, ‘গার্লফ্রেন্ড’, ‘জিও পাগলা’সহ বেশ কিছু হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন বনি।
তবে ঝুলিতে বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবি থাকলেও কাজ পাওয়ার জন্য কম লড়্রাই করতে হয়নি বনিকে। অভিনেতার কথায়, অনেকে হয়তো ভাবেন সুখেন দাসের নাতি এবং অনুপ সেনগুপ্ত ও পিয়া দাসের ছেলে হওয়ার জন্য তাঁকে অভিনেতা হওয়ার জন্য কোনও কষ্টই করতে হয়নি। কিন্তু বাস্তবে এমনটা নয়। গোটা ১ বছর কাজ না পেয়ে বসেছিলেন বনি। অনেক সময় এমনও হয়েছে একটি ছবির জন্য তাঁকে পুরোপুরি সিলেক্ট করে নেওয়ার পরও সেখান থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
টলিউডে নিজের কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বনি বলেন, টলিউডে কাঠি করার লোকের অভাব নেই। আর সেই কারণেই এখন কাজ হারানোর কিংবা সমালোচিত হওয়ার ভয় তিনি পাননা। বনির বিশ্বাস, নিজের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমেই দর্শকদের মনে রাজত্ব করবেন তিনি।