বাংলা ফিল্ম এবং টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত নামী একজন অভিনেতা (Tollywood actor) হলেন বিশ্বনাথ বসু (Biswanath Basu)। কমেডি চরিত্র হোক কিংবা গুরুগম্ভীর কোনও রোল, সব ধরণের চরিত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। দেখিয়েছেন তিনি কোন মাপের অভিনেতা। আর সেই জন্য দর্শকরা আজ তাঁকে এক ডাকেই চেনে।
টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় দু’দশক কাটিয়ে ফেলা বিশ্বনাথ অভিনয় করে ফেলেছেন প্রায় ১৫০টি সিনেমা এবং ১০০টি মেগা সিরিয়ালে। মিঠুন চক্রবর্তী থেকে শুরু করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, জিৎ, দেব- কাজ করেছেন ইন্ডাস্ট্রির প্রায় প্রত্যেক সুপারস্টারের সঙ্গে। ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রির বহু নামী শিল্পীর সঙ্গেও স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তিনি। আজ সকলে সফল বিশ্বনাথকে চিনলেও তাঁর স্ট্রাগলের অজানা কাহিনী (Struggle story) কিন্তু জানেন না।
বিশ্বনাথ আজ যে জায়গায় পৌঁছেছেন, সেখানে আসার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। সম্প্রতি ‘জোশ টকস’এ নিজের জীবন এবং কেরিয়ারের শুরুর অজানা কাহিনী শেয়ার করে নিয়েছেন এই অভিনেতা। যা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন প্রত্যেকে।
টলিউডের এই নামী অভিনেতার জন্ম বসিরহাটের এক গ্রামে। সেখান থেকে কলকাতায় এসে অভিনেতা হিসেবে সফল হওয়ার এই লড়াই একেবারেই সহজ ছিল না তাঁর। কেরিয়ারের শুরুতেই অনেকে তাঁকে বলেছিলেন, এত বড় পেট, এই গাল নিয়ে অভিনেতা হওয়া যায় না। কেউ আবার বলেছিলেন নাম পরিবর্তন করার কথা। কিন্তু বিশ্বনাথের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল নিজের প্রতিভার ওপর। আর আজ সেই প্রতিভার জোরেই এত সফল তিনি।
বিশ্বনাথ জানান, কনক রায় নামের এক ব্যক্তি বদলে দিয়েছিলেন তাঁর জীবন। তিনিই অভিনেতাকে শিখিয়েছিলেন, অভিনেতা মানে চুল কাটা, ভালো জামাকাপড় পরা কিংবা স্টাইলের নাম নয়। অভিনয় একটা বোধ। সেই জন্য দরকার পড়াশোনা, প্র্যাকটিসের। এই মন্ত্রকে পাথেয় করেই নিজের কেরিয়ারে এগিয়েছেন বিশ্বনাথ।
টলিপাড়ার এই নামী অভিনেতা জানান, একসময় এনটিওয়ান স্টুডিওয় ঢুকতে পারতেন না তিনি। কারণ ভেতরে কাজ করতেন অনেক খ্যাতনামা পরিচালকরা। তাই গাড়ি না থাকলে সেখানে ঢোকা বারণ থাকত প্রত্যেকের। অভিনেতা রোজ বাইরে বসে অপেক্ষা করতেন একজন বন্ধুর যিনি তাঁকে বাইকে করে ভেতরে নিয়ে যাবেন। কেরিয়ারের শুরুতে প্রচুর সংগ্রাম করেছেন বিশ্বনাথ। সম্প্রতি সেই কাহিনীই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা। সদাহাস্যময় এই ব্যক্তির জীবনেও যে এত সংগ্রাম রয়েছে, তা হয়তো তাঁর মুখ থেকে না শুনলে চিরকাল দর্শকদের অজানাই থেকে যেত।