কাশ্মীরি পন্ডিতদের বাস্তব জীবনের উপর নির্মিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) মুক্তির পর থেকে গোটা দেশজুড়ে কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তবে এই সিনেমা কে ঘিরে রয়েছে বেশ কিছু মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে দেশবাসীর ধর্মীয় ভাবাবেগকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছেন পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী(Vivek Ranjan Agnihotri)। যার ফলে এই উস্কানিমূলক সিনেমা অনেকেই না দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আবার একটা দেশের একটা বড় অংশের দাবি অনেক পড়াশোনা করে অত্যন্ত সৎ ভাবেই এই সিনেমা বানিয়েছেন বিবেক। যার প্রতিটা দৃশ্যই তিনি তুলে এনেছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর অত্যাচারের ঐতিহাসিক গাঁথা থেকে, তাই তাদের দাবি এই সিনেমার মধ্যে যা দেখানো হয়েছে তার এক বর্ণও মিথ্যে নয় সব সত্যি, যা দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পরেননি দর্শকরা।
তবে জানা যায় এই সিনেমা মার্কিন মুলুকে মুক্তির সময় হুমকি ফোন এসেছিল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর কাছে। শুধু তাই নয় ভারতে মুক্তির সময়ও একাধিক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি নিজের দেশেই তাঁকে খুনের হুমকি দিয়ে একাধিক ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও দমে যাননি পরিচালক মশাই। বরং সাহস দেখিয়েছেন তিনি। যার আজ গোটা বিশ্ববাসী দেখছেন নিরীহ শান্তিপ্রিয় কাশ্মীরি পন্ডিতদের নির্মম গণহত্যার কাহিনী।
এই সিনেমার প্রচারে ইতিপূর্বে সরব হয়েছেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির একাধিক অভিনেতা, অভিনেত্রীরা। এই তালিকায় রয়েছেন বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন কঙ্গনা রানাওয়াত, থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, ইয়ামি গৌতম এবং বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সহ আরও অনেকে। আর সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বাংলার টলিউড ইন্ডাস্ট্রির খ্যাতনামা অভিনেতা তথা টলিপাড়ার কাশ্মীরি পণ্ডিত ভরত কল (Bharat Kaul)।
বিবেক অগ্নিহোত্রীর এই সিনেমা প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত মতামত জানিয়ে অভিনেতা বলেছেন ছবিতে যা দেখানো হয়েছে সব সত্যি। কারণ একসময়
এই অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি এবং তাঁর পরিবার। তিনি মনে করেন এই ছবিকে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। অভিনেতা জানান তার জন্ম কলকাতায় হলেও তার বাবা কলকাতায় মাইগ্রেট করেছেন ৬৬-তে। প্রত্যেক বছর তাদের যাওয়া-আসা ছিল ভূস্বর্গে। কিন্তু এখন আফসোস আর কোনওদিন তিনি বাড়ি যেতে পারবেন না। তার মেয়ে আইরার চিরকাল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘কল’ পদবীটা ব্যবহার করলেও কোনওদিনও ওর ঠাকুরদার বাড়িটা দেখতে পাবে না।