এই মুহূর্তে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতাদের (Tollywood actor) নামের তালিকা যদি প্রস্তুত করা হয় তাহলে সেখানে নিঃসন্দেহে নাম থাকবে অঙ্কুশ হাজরার (Ankush Hazra)। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে টলিউডে কাজ করছেন তিনি। নিজের দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে আদায় করে নিয়েছেন দর্শকদের ভালোবাসা।
বড়পর্দা থেকে শুরু করে ছোটপর্দা, অঙ্কুশ কাজ করেছেন সব মাধ্যমেই। সম্প্রতি আবার রিলিজ করেছে অভিনেতার নতুন ওয়েব সিরিজ। এর আগে লকডাউনের সময় একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেও সেটির দৃশ্যায়ন অভিনেতারা নিজেদের বাড়িতে করেছিলেন। তবে এবার ‘শিকারপুর’এর মাধ্যমে যথার্থভাবে ওয়েব দুনিয়ায় পা রাখলেন অভিনেতা।
‘শিকারপুর’এর প্রথম ঝলক দেখে দর্শকদের বেশ ভালোলেগেছে। সম্পূর্ণ ওয়েব সিরিজ দেখার জন্য আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে তাঁদের। ওয়েব সিরিজ রিলিজের আগে অঙ্কুশ ‘টলি টাইম’ নামের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেছিলেন। সেখানে বড়পর্দা-ছোটপর্দা বিতর্ক থেকে শুরু করে নিজের কেরিয়ার, টলিউড- সব কিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
বড়পর্দা-ছোটপর্দা বিতর্কে কথা বলার সময় অভিনেতা জানান, তিনি রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক এবং সঞ্চালক দুই হিসেবেই কাজ করেছেন। একসময় যে শোয়ের বিচারক ছিলেন, পরে সেই শোয়েরই সঞ্চালনা করেছেন। কিন্তু কখনও এটা ভাবেননি যে শোয়ের বিচারক ছিলেন, সেই শোয়ের সঞ্চালনা কেন করবেন! উল্টে অভিনেতা জানান, বিচারক হিসেবে তিনি যে পারিশ্রমিক পেতেন, সঞ্চালক হিসেবে তার চেয়ে অনেক বেশি আয় করেছেন।
অবশ্য শুধুমাত্র আয়ের বিষয়টিই নয়, অঙ্কুশ জানান রিয়্যালিটি শো করার পর বিদেশের মানুষও তাঁকে চিনতে শুরু করেছেন। কারণ বাংলা সিনেমা না দেখলেও রিয়্যালিটি শো বিদেশের মানুষও দেখেন, সেখান থেকেই বেড়েছে তাঁর পরিচিতি।
এরপর সাক্ষাৎকারগ্রহীতা অঙ্কুশকে জিজ্ঞেস করেন তাঁর কাছে যদি কোনও ক্ষমতা আসে, তাহলে তিনি ইন্ডাস্ট্রির কোন ক্ষমতা ভেদ করতে চান? অভিনেতা সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘প্রচুর আছে। আমায় ওই ক্ষমতা না দিলেই ভালো হয়’। টলি সুপারস্টারের সংযোজন, ‘অনেকে আছে মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়… ক্ষমতা যদি পাই না রে!!!’।
সবশেষে অঙ্কুশকে জিজ্ঞেস করা হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে ১২ বছর কাটিয়ে ফেলার পরেও কি তাঁকে সংগ্রাম করতে হয়? জবাবে অভিনেতা বলেন, ‘আমার কথা ছেড়ে দাও। আমার থেকে যারা সিনিয়র তাঁদেরই জিজ্ঞেস করো কত সংগ্রাম করতে হয়। অবশ্যই করতে হয়। যত ধাপ এগোবে ততই সংগ্রাম বাড়ে’।