বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক অতি পরিচিত নাম অভিষেক চ্যাটার্জী (Abhisekh Chatterjee)। গত দুই দশক আগেও নায়কের ভূমিকায় পর্দা কাঁপাতেন তিনি। তাঁর সাবলীল অভিনয়ের দক্ষতা এবং সুদর্শন চেহারায় মুগ্ধ হয়েছিল অসংখ্য সিনেমাপ্রেমী। নিজের কাজ দিয়েই তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তাঁর সমসাময়িক প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিত, তাপস পালের মত দাপুটে অভিনেতাদের।
প্রয়োজনে সেই সব অভিনেতা দের সাথে একই সিনেমায় অভিনয় করতেও তিনি পিছপা হননি, কারণ তিনি তার প্রতিভা নিয়ে এতটাই আশাবাদী ছিলেন। তবে টলিউডের সেই দিন আর নেই সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছে। এখন আর আগেকার মত সিনেমা হলের বাইরে হাউসফুল বোর্ড ঝোলে না। ভালো সিনেমা নিয়ে মানুষের উন্মাদনাও চোখে পড়ে কম। এর একটা কারণ হয়তো হাতের মুঠোয় ডিজিটাল মাধ্যমে বিনোদন পেয়ে যাওয়া।
বর্তমানে বাংলা সিরিয়াল ‘খড়কুটো’তে অভিনয় করছেন অভিষেক চ্যাটার্জী। সিরিয়ালে গুনগুনের বাবার চরিত্রে দেখা যায় তাকে। দিনের অনেকটা সময় স্টুডিওতেই সকলের সাথে কাটে। কিরখম অভিজ্ঞতা হল এই দীর্ঘ অভিনয় জীবনে? আগের তুলনায় কতটা পাল্টেছে বিনোদনের ধরণ? আর অভিনেতা হিসাবে নিজেকেই বা কেমন চোখে দেখেন অভিষেক চ্যাটার্জী? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলেছে সম্প্রতি নেওয়া অভিনেতার একটি সাক্ষাৎকারে।
সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘নিজেকে ষ্টার বা সুপারস্টার কোনোটাই মনে করেন না তিনি। বরং মানুষকে কতটা বিনোদন দিতে পারলাম সেটাই হল আসল কথা’। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই আছেন যারা নিজেদের ষ্টার এমনকি সুপারস্টার পর্যন্ত বলে তাদের মত নন তিনি। বরং কাজ করে লোকের মুখ থেকে প্রশংসা শুনেই খুশি তিনি। এছাড়াও নিজের দীর্ঘ ৩৫ বছরেরও বেশি অভিনয় জীবনের কিছু টুকরো স্মৃতি একে একে তুলে ধরেন অভিনেতা।
অভিষেক চ্যাটার্জীর মতে, ‘একবার মনে আছে দুটো মেয়ে ডায়মন্ড হারবার থেকে পালিয়ে এসেছিল একবার দেখা করার জন্য। এরপর পাড়ার ছেলে ও পুলিশের সাহায্যে তাদের বাড়ি পাঠানো হয়েছিল’। এছাড়াও ‘সুজন সখি’ ছবির ‘সব সখিরে পার করতে’ গানের শুটিং নদীতে হবার কথা থাকলেও মানুষের ভিড়ে অন্যত্র শুটিং হয়েছিল এমন নানা কথা শেয়ার করেন অভিনেতা। এরপর খড়কুটো প্রসঙ্গে আসতেই জানা যায় বাড়িতে সিরিয়াল দেখার সময় পাননা অভিনেতা। লোকের মুখেই শুনতে পান নিজের দারুন অভিনয়ের কথা।