বাংলা টেলি দুনিয়ার (Television) অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী (Actress) হলেন তিয়াশা লেপচা (Tiyasha Lepcha)। কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে। কারোর কাছে তাঁর পরিচিতি ‘শ্যামা’, কারোর কাছে আবার ইন্দিরা হিসেবে। তবে নাম যাই হোক না কেন, নিজের কাজের মাধ্যমে বাংলার প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে তিনি। সম্প্রতি এই অভিনেত্রীরই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে।
ছ’বছর আগে জি বাংলার ‘কৃষ্ণকলি; ধারাবাহিকের হাত ধরে টেলিভিশনের পর্দায় এন্ট্রি হয়েছিল তিয়াশার। তখন অবশ্য তাঁকে তিয়াশা রায় নামে চিনত দর্শকরা। কারণ সেই সময় সুবান রায়ের সঙ্গে বিয়ে ভাঙেনি তাঁর। মাত্র ১৯ বছর বয়সে সুবানের সঙ্গে সাত পাক (Wedding) ঘুরেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দু’জনে।
মাঝখানে প্রায় কেটে গিয়েছে একটা বছর। তিয়াশাকে এখন দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার ‘বাংলা মিডিয়াম’ ধারাবাহিকে। নায়িকা ইন্দিরার ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। যদিও কাজের সৌজন্যে নয়, বরং সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সৌজন্যে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিয়াশা।
গত বছর নিজের জন্মদিনের দিন তিয়াশা জানিয়েছিলেন, তিনি হ্যাপিলি সিঙ্গেল। তবে ডিভোর্স হয়েছে বলে জীবনে আর কখনও প্রেমে পড়বেন না এই ধারণায় বিশ্বাসী নন ‘বাংলা মিডিয়াম’ নায়িকা। গত বছরই অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে যদি কখনও নিজের মনের মানুষকে খুঁজে পান তাহলে অবশ্যই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন।
‘বাংলা মিডিয়াম’এর ইন্দিরার কথায়, ‘ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই গাঁটছড়া বাঁধব আমি। মনের মতো সঙ্গী যদি খুঁজে পাই তাহলে কেন বিয়ে করব না? সুবানকেও আমার বিয়েতে নিমন্ত্রণ করব। আসতে বলব’। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গেই তিয়াশার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এই সময় ডিজিটাল। তখনই নিজের দ্বিতীয় বিয়ের প্ল্যানিং নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী।
নতুন করে জীবনকে সাজিয়ে তোলার কোনও প্ল্যানিং করেছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিয়াশা বলেন, ‘জীবন নিয়ে আমি সেভাবে কিছু ভাবছিই না। আমার জীবনের মূল মন্ত্রই হল ‘গো উইথ দ্য ফ্লো’। জীবনে প্ল্যান করে এগিয়ে কোনও লাভই হয় না’। অভিনেত্রীর সংযোজন, ‘সারা জীবন সিঙ্গেল থাকার পরিকল্পনা আমার নেই। অনেককে বলতে শুনি একা থাকব। তবে আমি মনে করি এত কাজ করার পর দিনের শেষে বাড়ি ফিরে তাঁর সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নেওয়া যায়। এখনই কোনও ভাবনাচিন্তা নেই। একটু সময় নিয়ে তারপর ভাবব’।