বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে একজন হলেন কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick)। তারকাসন্তান হলেও নিজের দুর্দান্ত অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি এবং দর্শকদের মধ্যে স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করেছেন তিনি। দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় দু’দশক কাটিয়ে ফেলেছেন রঞ্জিত মল্লিকের মেয়ে। তবুও কখনও কোনও বিতর্কে জড়ায়নি তাঁর নাম।
২০০৩ সালে ‘নাটের গুরু’ ছবির মাধ্যমে টলিউডে পথচলা শুরু কোয়েলের। ডেবিউ ছবিতে তাঁর নায়ক ছিলেন জিৎ। এরপর থেকে একসঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় কএছেন দু’জনে। উত্তম-সুচিত্রা, ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিতের পর টলিউডের সেরা জুটি হিসেবে গণ্য করা হতো তাঁদের। বহুবার তাঁদের প্রেমের গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল।
তবে সেসব গুঞ্জনে জল ঢেলে ২০১৩ সালে প্রযোজক নিসপাল সিং রানের (Nispal Singh Rane) সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন রঞ্জিত মল্লিকের কন্যা। প্রথমে শিখ রীতি মেনে গুরুদ্বারায় বিয়ে করেন দু’জনে। এরপর বিকেলে বাঙালি রীতিতে সাত পাক ঘোরেন তাঁরা। চলতি বছর তাঁদের বিয়ের ১০ বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই সঙ্গেই সামনে এসেছে তাঁদের বিয়ে সম্পর্কিত একাধিক অজানা তথ্য।
শোনা যায়, বিয়ের আগে কোয়েল এবং নিসপাল প্রায় ৭ বছর সম্পর্কে ছিলেন। একটা সময়ের পর থেকে অভিনেত্রীর বাড়ি থেকেও বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পর্দার ‘মিতিন মাসি’ তখন বিয়ে করতে একেবারেই রাজি ছিলেন না। নিসপাল এবং কোয়েলের সম্পর্কও পরিবারের সকলে জানতেন। সেই সঙ্গে এও জানতেন যে মেয়ে নিজের মর্জির মালিক। নিজের ইচ্ছা না হলে সে বিয়ে করবে না।
একবার এক সাক্ষাৎকারে নিজের বিয়ে নিয়ে মুখ খোলেন টলি সুন্দরী। অভিনেত্রী বলেন, ঘড়িতে তখন ঠিক সকাল সাড়ে আটটা বাজে। আচমকা কোয়েল তাঁর মাকে জানান, তিনি বিয়ে করতে চান। প্রথমে সবাই একটু অবাক হয়ে যান। কিন্তু কোয়েলের মা নাকি তাঁকে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখার কোনও সুযোগই দেননি।
এরপর সঙ্গে সঙ্গে রঞ্জিত মল্লিকের স্ত্রী সকলকে ফোন করে মেয়ের বিয়ের কথা জানিয়ে দেন। এরপরের ফোনটা যায় পাত্র তথা নিসপালের কাছে। তিনি নাকি তখনও ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁকে বিয়ের কথা বলার পর তিনি সঙ্গে সঙ্গে কোয়েলকে ফোন করে বলেন, এত তাড়াতাড়ি? যা শুনে নায়িকা প্রশ্ন করেন, মানে? ব্যস, এরপরই বিয়ের সানাই বাজে মল্লিক এবং রানে পরিবারে। আজ ১০ বছর ধরে সুখে সংসার করছেন কোয়েল এবং নিসপাল। ছেলে কবীর আসার সঙ্গে সম্পূর্ণ হয়েছে তাঁদের পরিবার।