পুজোর আর বেশি দেরি নেই। ইতিমধ্যেই বাতাসে ভাসছে পুজোর গন্ধ। পুজো মানেই তিলোত্তমা কলকাতার রাস্তায় ঠাকুর দেখতে বেরনো জনসমুদ্র, আর সেইসাথে ভীড়ে ঠাসা সিনেমা হল। এতদিন পর্যন্ত এটাই ছিল কলকাতার চিরপরিচিত দুর্গা পুজোর ছবি। কিন্তু গত বছর থেকে করোনা সংক্রমণের জেরে ওলট পালট হয়ে গিয়েছে সবকিছু।
ব্যাতিক্রম নয় বিনোদন জগতও। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির অপেক্ষায় গত বছর থেকেই আটকে রয়েছে একাধিক সিনেমা। করোনার কাঁটায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর একাধিক কোভিড প্রটোকল মেনেই খুলছে সিনেমা হল। তাই প্রথা ভেঙে এবছর পুজোতে মুক্তি পেতে চলছে জিৎ (Jeet) অভিনীত সিনেমা ‘বাজি’ (Baazi)। সাধারণত প্রতি বছর ঈদের দিনটাকেই ছবি মুক্তির জন্য পাকাপাকিভাবে বেছে রেখেছেন জিৎ।
কিন্তু করোনার কোপে গতবারের মতো এবারও ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। কারণ হিসাবে জানা যায়,গত বছরই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘বাজ়ি’। কিন্তু করোনার জেরে তা পিছিয়ে যায়। তাই ঠিক করা হয়েছিল এ বছর ইদে ছবিটি রিলিজ় করা হবে। কিন্তু তখনও রাজ্যে সিনেমা হল খোলেনি। তবে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার গণেশ চতুর্থীর মতো শুভ দিনে জিৎ ঘোষণা করেন, অংশুমান প্রত্যুষ পরিচালিত ‘বাজ়ি’ মুক্তি পাবে এই পুজোয়।
আর এবছর পুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে টলিউডের অপর এক সুপারস্টার দেবের (Dev) দু’দুটি সিনেমা। যার মধ্যে একটি হল ‘গোলন্দাজ’ (Golondaz) এবং অপর সিনেমাটি হল দেব প্রযোজিত ‘হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ (Hobuchandra Rajar Gobuchandra Montri)। এছাড়া অতনু রায়চৌধুরী প্রযোজিত দেবের অপর একটি সিনেমা ‘টনিক’ মুক্তি পাবে শীতের ছুটিতে। তাই পুজোর মুখে দেব বনাম জিতের এই বক্স অফিসের টক্কর দেখার অপেক্ষায় এখন থেকেই মুখিয়ে রয়েছেন দর্শকদের একাংশ।
দেব বনাম জিতের এই ছবির লড়াই সম্পর্কে জিৎ জানিয়েছেন ‘আমি চাই, সব ছবি ভাল ব্যবসা করুক। তাতেই ইন্ডাস্ট্রির ভাল হবে।’ এছাড়া পুজোয় ছবি মুক্তি প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন , ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন কাটিয়ে সিনেমা হল খোলার পর থেকে দর্শক মোটামুটি আসছেন। প্রত্যেক দিনই দর্শকসংখ্যা বাড়ছে। আশা করব, সাধারণ মানুষ পুজোর সময়ে ছবি দেখতে থিয়েটারে আসবেন।’