শিল্পী হওয়া মুখের কথা নয় , নিজেকে শিল্পী বলার সাথে সাথেই অনেকগুলো বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়ে কাঁধে। কথায় বলে ‘Show must go in ‘ অর্থাৎ একজন প্রকৃত শিল্পীর দায়িত্ব যেকোনও পরিস্থিতিতেই তার কাজ এবং প্রতিশ্রুতির প্রতি সৎ থাকা। আর কমেডিয়ান বা কৌতুক অভিনেতাদের জীবন তো আরও কঠিন ,ব্যক্তিগত জীবনে হাজার শোক নিয়েও তারা দায়বদ্ধ মানুষকে হাসতে ,দর্শক আসনে বসে থাকা মানুষকে মজা দিতে গিয়ে বুকে পাথর নিয়েও লোক হাসতে হয় তাদের। একবার যেই কৌতুক অভিনেতা নিজের আবেগকে বসে আন্তে শিখে যান তিনি পরবর্তীতে অনেক দূর এগোন , আর এই কারণেই হয়ত সফল বিখ্যাত কমেডিয়ান তথা অভিনেতা জনি লিভার (Johny Lever)।
একসময় দরিদ্র পরিবারের ছেলে হলেও আজ তিনি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। আজ সেই জনি লিভারের জীবনের কঠিন সংগ্রামের সাথেই পরিচয় করিয়ে দেব আপনাদের। বলিউডে মূলত কমেডি অভিনেতা হিসেবেই বেশিভাগ সিনেমায় অভিনয় করেছেন জনি লিভার। অভিনয়ের দৌলতে যেমন ব্যাপক জনপ্রিয়তাও লাভ করেছেন তেমনি কয়েকশো কোটি টাকার মালিকও হয়েছেন তিনি। তবে শুরুটা একেবারেই এমন ছিল না। অভিনেতার শুরুর দিন গুলি একেবারেই দারিদ্রতা ও সংগ্রামে পরিপূর্ণ ছিল। আর সেই কঠিন পরিশ্রমের ফসলই তার আজকের জনপ্রিয়তা।
জনি লিভার তার কাজের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল ,যেকোনও কিছুর থেকেই তিনি তার কাজকে এগিয়ে রাখেন। আর একজন প্রকৃত শিল্পীর বোধহয় এই গুনটাই থাকা আবশ্যিক। আজ আপনাদের এমন একটি ঘটনা জনাব যা কোনও সাধারণ মানুষের ভাবনার অতীত। বলিউড হাঙ্গামার একটি সাক্ষাৎকারে যোনি জানিয়েছিলেন , এমনও একটা দিন গিয়েছে জডিং নিজের মৃত বোনের লাশ ঘরে ফেলে রেখেই তিনি লোক হাসাতে মঞ্চে উঠেছিলেন।
জনি বলেন, “আমার বোন মারা গেছে এবং সেদিনই অনেক আগে থেকে ঠিক করা আমার একটি শো ছিল। আমি জানতাম শোটি ছিল রাত ৮ টায়। এক বন্ধু সেই সময় ফোন করে বলেন জনি ভাই শো ক্যানসেল করেছেন? অভিনেতা বলেন ‘না ম্যান শো তো ৮টায় ‘ , তখন ওই বন্ধু বলেন না শো বিকেল ৪টায় ”
তিনি আরও বলেন , ‘এটা ছিল কলেজের অনুষ্ঠান। বাড়ির সবাই কাঁদছিল, বাড়িময় শোকের পরিবেশ। আমি সেখান থেকে আমার জামাকাপড় নিয়ে লুকিয়ে বেরিয়ে আসি। আমিও ট্যাক্সিতে কাপড় পাল্টালাম। তখন আমার গাড়ি ছিল না।” জনি আরও বলে যে, “আমি যখন কলেজে আসি, তখন ছাত্ররা অন্যরকম মেজাজে ছিল। তবুও আমি আমার দুঃখ ভুলে অভিনয় করেছি। সেদিন আমি কীভাবে পারফরম্যান্স দিয়েছিলাম তা কেবল উপরওয়ালা জানেন। আমাকে এত সাহস কোথা দিয়ে দিলেন একমাত্র তিনিই জানেন। এটাই জীবন. এখানে যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। আমাদের প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
View this post on Instagram