রাতের আকাশ সবসময়ই আমাদের নিত্যনতুন দৃশ্যের সাক্ষী করে রাখে। লিওনিড উল্কাপাত হোক বা হ্যালউইনের নীল চাঁদ, মহাকাশের অভূতপূর্ব চমকের সামনে বারংবার হতবাক হয়ে যায় মানবসভ্যতা। গত বৃহস্পতিবার চন্দ্র, বৃহস্পতি ও শনির ত্রিভূজ দেখে অবাক হয়েছেন মহাকাশপ্রেমীরা। রাত হতেই আকাশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে দেখা যায় চাঁদ, সূর্যাস্তের পরেই একে একে আগমন ঘটে বৃহস্পতি আর শনির!
জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশবিদ জেফ্রি হান্ট জানিয়েছেন, “সূর্যাস্তের ৩০ মিনিট পর থেকে প্রায় ২ঘন্টা সময় ধরে দেখা যাবে এই মহাজাগতিক দৃশ্য।” তিনি আরও জানিয়েছেন যে, যেহেতু পৃথিবী থেকে শনি খুব একটা স্পষ্ট নয়, তাই শনিকে খুব বেশি সময় দেখা যাবে না। যদিও নির্দিষ্ট সময়েরও প্রায় ৪ ঘন্টা পরেও এই অদ্ভূত দৃশ্যের রেশ থাকবে মহাকাশে, এমনটাই বক্তব্য তাঁর।
হান্ট উৎসুকভাবে জানিয়েছেন, “এই দৃশ্য উপভোগ করার জন্য বিশাল কোনো যন্ত্রের দরকার নেই। ছোট পক্ষী পর্যবেক্ষক বা দূরবীন হলেই হবে। দূরবীনকে সোজা করে ধরলে বৃহস্পতির বৃহৎ উপগ্রহ এবং শনির বলয়ও প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হবে!” জ্যোতির্বিদদের মতে, এই দৃশ্য না দেখতে পেলেও মনখারাপ করার কিছু নেই। আগামী ডিসেম্বর মাসে এমন মহাজাগতিক দৃশ্য ফের দেখা সম্ভবপর হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
হান্ট জানাচ্ছেন, ১৬ই ডিসেম্বর এই তিন মহাজাগতিক চরিত্র পুনরায় ত্রিভূজাকারে আসবে। আগামী ২১শে ডিসেম্বরের ‘দ্য গ্রেট কনজাংকশন’-এর মাত্র ৫ দিন আগেই ঘটবে এই ঘটনা। হান্ট জানাচ্ছেন, ১৬২৩ সালের পর পুনরায় ঘটবে এই ‘কনজাংকশন’, তাই মহাকাশপ্রেমীদের কছে যে এই ঘটনাগুলি অতি প্রিয় হবে, তা বলাই বাহুল্য।