চারিদিকের পরিস্থিতি মোটেই সুখকর নয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বেহাল দেশ তথা রাজ্য। রোজই আসছে দুঃসংবাদ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। নিত্যনতুন গবেষণায় রোজই দানা বাঁধছে নয়া আশঙ্কা, এর মাঝেই কোয়েম্বত্তুরে তৈরি হল ‘করোনা দেবী’র মন্দির।
সেখানকার মানুষের বিশ্বাস এই সর্বগ্রাসী অতিমারী, আর মারণ ভাইরাস থেকে জনজাতিকে রক্ষা করবেন এই ‘করোনা দেবী’। এই ‘করোনা দেবী’র প্রতিষ্ঠাতারাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “করোনা দেবী একটি কালো পাথরের মূর্তি। যা ১.৫ ফুট দীর্ঘ। আমরা বিশ্বাস করি যে, এই ভয়ঙ্কর রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করবে করোনা দেবী।”
করোনার আগেও মহামারী দেখেছে পৃথিবী। আজ থেকে শত বছরের আগেও প্লেগের তান্ডবে মৃত্যুর কবলে ঢলে পড়েছিল বহু মানুষ। এর থেকে রক্ষা পায়নি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তুর জেলাও। বছরের পর বছর ফিরে আসে এই মহামারী। অনেকটা করোনার মতোই। সেই সময় প্লেগের উদ্দেশে একটি মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল “প্লেগ মারিয়াম্মান মন্দির।”
এবার স্মৃতিই উস্কে দিল করোনা দেবীর মন্দির। কোয়েম্বত্তুর শহরের বাইরে ইরুগুরের কাছে কামাচিপুরমে এই মন্দির গজিয়ে উঠেছে। “করোনা দেবী”-কে উৎসর্গ করে দক্ষিণ ভারতে এটি দ্বিতীয় মন্দির। এর আগে কেরলের কোল্লাম জেলার কাদাক্কালে মন্দির তৈরি হয়েছিল। এক পুরোহিত তাঁর বাড়িতে অস্থায়ীভাবে মন্দির স্থাপন করে এই মূর্তি বসিয়েছিলেন।