ইতিমধ্যেই মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছে আলিয়া ভাটের (Alia Bhatt) আসন্ন ছবি গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি (Gangubai kathiawadi)। সঞ্জয় লীলা বনসালির (Sanjay Leela Bhansali) পরিচালিত ছবিতে মূল গাঙ্গুবাই চরিত্রে থাকছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকদের উৎসাহ এক লাফে বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। আগামী ২৫ শে ফেব্রুয়ারী বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে আলিয়া ভাট অভিনীত এই ছবি।
কিন্তু মুক্তির আগেই বড়সড় বিপদের মুখে পড়ল গাঙ্গুবাঈয়ের ছবি। কেননা ইতিমধ্যেই গাঙ্গুবাঈয়ের পরিবার এই ছবি নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছে। তাদের বক্তব্য এই ছবিতে ‘গাঙ্গুবাঈ’কে যৌনকর্মী বা পতিতা হিসেবেই বেশি দেখানো হচ্ছে, আর এতেই আপত্তি গাঙ্গুর পরিবারের।
তারা জানান, গাঙ্গুবাঈ যৌনকর্মী নয় সমাজকর্মী ছিলেন। গাঙ্গুবাইয়ের দত্তক পুত্র রাওজি শাহ ২০২১ সালে ছবির বিরুদ্ধে একটি পিটিশনও দায়ের করেছিলেন যার জেরে কোর্টে তলব করা হয় আলিয়া সঞ্জয়কে। সেসব আইনি ঝামেলা সামলাতে হয় নায়িকা পরিচালক জুটিকে।
অবশেষে হাইকোর্ট ছবিটির স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। এদিকে গাঙ্গুবাঈয়ের মুক্তির দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও এদিন তার দত্তক পুত্র এক সাক্ষাৎকারে জানান, “আমার মাকে পতিতা বানানো হয়েছে। এখন মানুষ তাকে আপত্তিকর কথা বলছে। ” এই প্রসঙ্গে আইনজীবী নরেন্দ্র জানিয়েছেন, এই ছবিতে গাঙ্গুবাঈকে সম্পূর্ণ ভুল ভাবে দেখানো হয়েছে। তাকে পতিতা হিসেবে দেখানো হয়েছে কিন্তু তিনি একজন সমাজকর্মী ছিলেন।
গাঙ্গুবাঈয়ের পতিতা পরিচয় ছড়িয়ে পড়ায় মুখ দেখাতে পারছেন না গাঙ্গুর পরিবার। বারংবার তাদের জিজ্ঞেস করা হচ্ছে গাঙ্গুবাঈ পতিতা ছিলেন না সমাজকর্মী। গাঙ্গুবাঈয়ের নাতনিও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, নিজেদের চলচ্চিত্রর জন্য গাঙ্গুবাঈ এবং তার পরিবারের মানহানি করা হচ্ছে। কেউ নাকি ছবি বানানোর আগে তাদের পরিবারের অনুমোদন ও চায়নি। এমতাবস্থায় গাঙ্গুবাঈয়ের মুক্তি আদৌও ঘোষিত দিনে হবে কিনা তা নিয়ে জলঘোলা চলছে।