ফেসবুক এবং ইউটিউবের সৌজন্যে আজ দু’হাতে টাকা আয় করছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটাররা। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সৌজন্যেই আজ বাংলার ইউটিউবারদের (YouTuber) সারা দেশের মানুষ চেনেন। লোক হাসিয়েই ব্যাপক জনপ্রিয় তাঁরা। সম্প্রতি বং গাই ওরফে কিরণ দত্তের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট ফাঁস হয়েছিল নেটদুনিয়ায়। যা দেখে চোখ কপালে ওঠে নেটিজেনদের। এবার টিভি ৯ বাংলার তরফ থেকে বাংলার সেরা ইউটিউবারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবার দেখে নেওয়া যাক, ওয়ান্ডার মুন্না, স্যান্ডি সাহাদের পড়াশোনার দৌড় (Educational qualification) কতদূর।
ওয়ান্ডার মুন্না (Wonder Munna)- ইন্দ্রাণী বিশ্বাসকে এখন সবাই ‘ওয়ান্ডার মুন্না’ নামেই চেনেন। অসংখ্য অনুরাগী রয়েছে তাঁর। জনপ্রিয় এই ইউটিউবার মাধ্যমিকে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করার পর সায়েন্স নিয়ে পড়েছিলেন। এরপর আশুতোষ কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেন। স্নাতক স্তরের পড়াশোনা হয়ে যাওয়ার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা নয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ইন্দ্রাণী। এরপর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে পার্ট টাইম চাকরিনেন তিনি। তখন থেকেই শুরু ইউটিউব করাও।
উন্মেষ গাঙ্গুলী (Unmesh Ganguly)- ‘বাঁকুড়া মিমস’এর উন্মেষ পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ছিলেন। ২০১০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮২% নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। এরপর সায়েন্স নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ৬৩% নম্বর পান উন্মেষ। উচ্চমাধ্যমিকের পর এন এস এইচ এম থেকে মাস কমিউনিকেশন নিয়ে স্নাতক এবং এরপর কর্ণাটকের মণিপাল থেকে একই বিষয়ের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন উন্মেষ।
কিরণ দত্ত (Kiran Dutta)- বং গাই যেমন জনপ্রিয় ইউটিউবারদের তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকেন, তেমনই পড়াশোনাতেও নম্বর ওয়ানই ছিলেন। মাধ্যমিকে A+ AA’এর নীচে পাননি তিনি। এরপর সায়েন্স নিয়ে পড়ে উচ্চমাধ্যমিকে স্টারমার্কস পেয়েছিলেন কিরণ। সায়েন্সের ছাত্র হলেও ইতিহাস প্রচণ্ড প্রিয় বিষয় কিরণের। সেই বিষয় নিয়ে না পড়তে পারার আক্ষেপ তাঁর চিরকাল থাকবে। তবে এখনও কিন্তু ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেই যান সকলের প্রিয় বং গাই।
স্যান্ডি সাহা (Sandy Saha)- বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর স্যান্ডির নাম এই লিস্টে থাকবে না তা কি হয়! মেধার বিচারে তিনিও কিন্তু কারোর থেকে কম নন। মাধ্যমিকে ৭৮.৫% নম্বর পেয়েছিলেন স্যান্ডি।
এরপর তিনি বিজ্ঞানই নিয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকে পান ৬০% নম্বর। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর ফিজিওলই অনার্স পড়েন স্যান্ডি এবং এরপর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স নিয়ে মাস্টার্স করেন। লকডাউন চলাকালীন স্যান্ডির এমএসসির পড়াশোনা শেষ হয়েছে।