বলিউডের বিগ-বি যে কত হিট ছবি ভারতবাসীকে উপহার দিয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নমক হালাল’ আজও অমিতাভ বচ্চনের কেরিয়ারের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সিনেমায় অমিতাভের বিপরীতে অভিনয় করেন খ্যাতনামা অভিনেত্রী স্মিতা পাতিল। ‘নমক হালাল’ (Namak Halal) ছাড়াও বিগ-বির বিপরীতে স্মিতা চুটিয়ে অভিনয় করেন ‘আর্থ’ (Earth), ‘আক্রোশ’ (Akrosh) ও ‘বাজার’ (Bazaar) ছবিতে। বলিইন্ডাস্ট্রি মাত্র ৩১ বছর বয়সে হারায় স্মিতা পাতিলের মত প্রতিভাবান অভিনেত্রীকে।
এখনও আশির দশকের ছবি যাঁরা দেখেন, তাঁদের মনে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে বেঁচে রয়েছেন স্মিতা। বলিসূত্রের মতে, ‘নমক হালাল’-এর একটি গানে অনেকগুলি বোল্ড দৃশ্যে তাঁকে অভিনয় করতে হয় বলে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েন স্মিতা এবং বাড়ি ফিরে নাকি কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। পরবর্তীতে অমিতাভ স্বয়ং তাঁকে বুঝিয়েসুঝিয়ে ঠান্ডা করেন। একটি সাক্ষাৎকারে অমিতাভ স্বয়ং জানান যে, “আমি ওঁকে বোঝাই যে যা হয়েছে সেটা স্ক্রিপ্ট মেনে। এতে অস্বস্তিতে পড়ার কোনো কারণ নেই।” সূত্রের খবর, বিগ-বির কথায় ক্রমশ স্বাভাবিক হন স্মিতা।
আশির দশকের বিচারে ‘নমক হালাল’ ছবির ‘আজ রাপাত যায়ে’ গানটিতে যে পরিমাণ ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছিল তা মাত দেবে সে সময়ের যেকোনো রোম্যান্টিক গানকেই! গানের খাতিরে স্মিতাকও বৃষ্টিতে ভিজে অভিনয় করতে হয়, যাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েন তিনি। জানা যায়, বাড়ি ফিরে মায়ের কোলে মুখ গুঁজে কেঁদেছিলেন স্মিতা এবং সহকর্মী হিসেবে সে খবরেই বেশ বিচলিত হয়ে পড়েন অমিতাভ।
আশির দশকে পরিচালক প্রকাশ মেহরার ‘নমক হালাল’ চূড়ান্ত হিট হলেও যদি অভিনেত্রী স্বয়ং অখুশি থাকেন, তাহলে সবকিছুতেই গ্রহণ লাগে। এই ভাবনা থেকেই গোটা ‘নমক হালাল’ টিম ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে স্মিতার মনখারাপের ঘটনায়। সূত্রের মতে, অমিতাভ স্বয়ং দায়িত্ব নিয়ে স্মিতাকে বুঝিয়ে স্বাভাবিক করে পুনরায় সেটে ফেরত আনেন।
বলিমহলের মতে, এই ঘটনার পর থেকেই অমিতাভের চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ব্যক্তিত্বের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিগ-বির বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন স্মিতা। ছবির সফলতা উদযাপনের উপলক্ষ্যে তাঁদের মাঝেমধ্যেই একসাথে দেখা যেতে থাকে। স্মিতা ঘনিষ্ঠের মতে, এর মাঝেই স্মিতার জীবনের আবির্ভাব ঘটে রাজ বব্বরের, ফলে অমিতাভ-স্মিতার ‘অনস্ক্রিন’ রসায়ন ‘অফস্ক্রিন’-এ পৌঁছানোর আগেই আটকে যায়!