গরমের খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি হলো পটল। কিন্তু অনেকেই পটল খেতে ভালো বাসেননা। পটল কিছুটা শসা ও ক্ষীরা গোত্রের উদ্ভিদ। এটি খেতেও উপাদেয়। পটল স্যুপ, তরকারী, ভাজা এমনকী মিষ্টান্ন প্রস্তুতিতেও ব্যবহৃত হয়।এবার অনেকেই ভাবেন যে আলু, পটল, কুমড়ো দিয়ে কি আর তেমন রান্না হবে! তবে আপনাদের বলি পটল দিয়েই কিন্তু দারুন রান্না হতে পারে। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ঠাকুমা দিদিমাদের হাতের সাবেকি রান্না চাল পটলের রেসিপি (Chal potol recipe)।
রোজ রোজ কিন্তু মাছ মাংস খেতেও ভালোলাগেনা, তখন রুচি ফেরাতে এই চাল পটল কিন্তু দুপুরের পাতে কিন্তু এনে দেবে আলাদাই রুচি। তাছাড়া পটলের এই রেসিপি যেমন খেতে ভালো তেমনি পটলের রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা। পটলে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২ ও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।এই রেসিপি সম্পর্কে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল এটি জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির ও স্পেশাল ডিশ ছিল। তাহলে আর দেরি নয় ঝটপট দেখে নিন চাল পটলের রেসিপি।
চাল পটল বানাতে লাগবে-
- পটল(৬-৭ টা)
- আলু (৩-৪ টা)
- গোবিন্দভোগ চাল( এক মুঠ)
- তেজ পাতা
- গোটা গরম মশলা( ২ টো এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি)
- গোটা জিরে
- নুন
- হলুদ
- চিনি
- জিরে গুড়ো
- লঙ্কা গুড়ো
- ঘি
- সাদা ও সর্ষের তেল
- কাজু ও কিসমিস
- গরম মশলা গুড়ো
- কাঁচা লঙ্কা ( ৪ টি)
- টম্যাটো (২ টি)
- আদা বাটা ( ২চামচ)
- শুকনো লঙ্কা
চাল পটল বানানোর পদ্ধতি –
- প্রথমে গোবিন্দভোগ চাল ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিতে হবে।
- এবার কড়াইয়ে সাদা তেল দিয়ে কাজু কিসমিস দিয়ে নেড়েচেড়ে রঙটা একটু বদলালে তাতে চালটা দিয়ে নাড়তে হবে
- চালটা একটু ভাজা ভাজা হলে আলাদা করে তুলে নিতে হবে।
- কড়াতে আবার সর্ষের তেল দিয়ে তাতে ডুমো করে কেটে রাখা আলু ,পটোল দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।সেগুলকে আলাদা করে সরিয়ে রাখতে হবে।
- তেলে এবার গোটা জিরে, ২ টো তেজ পাতা, ২ টো শুকনো লঙ্কা গোটা গরম মশলা দিয়ে ভেজে নিয়ে তাতে আদা বাটা, নুন, হলুদ, জিরে গুড়ো, লঙ্কা গুড়ো, দিয়ে ভালো করে কষিয়ে অল্প জল দিতে হবে।
- এবার তাতে ভাজা পটল,আলু, চাল,কাজু কিসমিস দিয়ে নাড়িয়ে নিয়ে টম্যাটো কুচি ও দুটো কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ও চিনি দিয়ে ভালো করে নাড়িয়ে অল্প জল দিয়ে ঢেকে ভাপে রান্না করতে হবে।
- চালটা সেদ্ধ হলে এবং কড়াই থেকে তেল ছাড়লে ভালো করে নেড়ে ১ চামচ ঘী ও গরম মশলা গুড়ো দিয়ে শেষ পর্যায় নেড়ে গরম গরম পরিবেশন করুন চাল পটল।