বাঙালি দর্শকদের কাছে একটি জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘ধুলোকনা’ (Dhulokona)। সম্পূর্ণ এক আলাদা কাহিনী নিয়েই ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছিল। আর পাঁচটা গল্পের মতো এটা কোনো বড়োলোকের শিক্ষিত মেয়ে গরিব ঘরের বা গ্রামের ছেলে অথবা কোনো শিক্ষিত বড়ো ঘরের ছেলে আর গ্রামের মেয়ের প্রেমের গল্প ছিলনা। শুরুতে গাঙ্গুলি বাড়ি নামক একটি বাড়ির পরিচারিকা, যে কিনা বাড়ির মেয়ের মতোই থাকে। আর সেই বাড়ির একমাত্র গাড়ির এক ড্রাইভারের গল্প দিয়ে।
সিরিয়ালে লালন ফুলঝুরি জুটি শুরু থেকেই বেশ পছন্দ দর্শকদের। তবে আরেকটি চরিত্রও বেশ দর্শকের নজর কেড়েছে। লালনের দিদি ‘ডলি’র চরিত্রে অভিনয়কারী অভিনেত্রী সাহানা দত্ত (Sahana Dutta)। ডলি চরিত্রে অভিনেত্রী সাহানার অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকের। অভিনেত্রীর অভিনয়ের গুনেই দর্শকের সামনে ডলি চরিত্রটি অনেক রকম ভাবে ফুটে উঠেছে পর্দায়। সে কখনও কুচুটে ননদ আবার কখনও ননদের ভূমিকায় একজন ভালো বন্ধুর মতো।
অভিনেত্রী সাহানা কিন্তু ধূলোকনাতেই প্রথম ননদের চরিত্র করছেন না। ধূলোকনার পাশাপাশি ‘গোধূলি আলাপে’ও ননদের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। আর এই দুই ধারাবাহিকে অভিনেত্রী চরিত্র একই হলেও দুই চরিত্রের বৈচিত্র রয়েছে প্রচুর। একজন কখনও ভালো কখনও খারাপ তো আরেকজন বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। বৌদিকে ভীষণ ভালোবাসে।
এই অভিনেত্রী এমন অভিনয়ই তাকে বারংবার শ্রেষ্ঠ করে তোলে দর্শকের চোখে। তিনি আজ প্রায় ১৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে চলেছেন। বরাবর পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাকে পর্দায় দর্শক বোন বা ননদের ভূমিকাতেই দেখেছেন। প্রতিটা সময় অভিনেত্রী নিজের দক্ষতা প্রমান করেছেন। নিজের অভিনয় দিয়ে প্রতিটি চরিত্র দর্শকের মনে গেঁথে দিয়েছেন।
কিন্তু এত গুলো বছর কাজ করে যাওয়ার পরও কখনও অভিনেত্রী মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাননি। নাকি তিনি নিজেই কখনও চাননি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে? যদিও অভিনেত্রীর গায়ের রং শ্যামবর্ণ। তবে তার মুখশ্রী সুন্দর। তাই দর্শকের ধারণা গায়ের রং ই তার নায়িকা হওয়ার পথে হয়ত বাধা দিয়েছে বারংবার। কিন্তু আবার কিছু দর্শকের মন্তব্য অনুযায়ী। শ্যামলা বা কালো গায়ের রং হলেই যে নায়িকা হওয়া যাবেনা এই কথা ভুল। আর তার প্রমান জী বাংলার কৃষ্ণকলি থেকে দেশের মাটি ধারাবাহিকের নোয়া সকলেই।