বাংলা সিনেমাকে সম্মৃদ্ধ করেছেন এমন তারকাদের নাম বলতে গেলেই উঠে আসে অনামিকা সাহার (Anamika Saha) কথা। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, বাংলা ছবির আইকনিক খলনায়িকা ‘বিন্দু মাসি’ অভিনেত্রীর কথাই বলছি। বাংলা ছবির জগতে খল নায়িকা ছাড়া সিনেমা এককথায় অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে বাংলার খলনায়িকা হিসাবে আজও প্রত্যেকের কাছে স্মরণীয় অভিনেত্রী অনামিকা সাহা। সম্প্রতি দিদি নং ১ (Didi No 1) এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীর টলিউড নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। টলিউডের বিখ্যাত সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী থেকে অপরাজিতা আঢ্যর দিকেও অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন অভিনেত্রী। টলিউডের ভিতরের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে ক্যামেরার সামনে অনেকেই তাঁকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করত। তবে ক্যামেরা পিছেনে গায়ে হাত পর্যন্ত তুলেছেন অনেকেই।
শুধু তাই নয় অভিনেত্রীকে মূলত খলচরিত্রেই দেখানো হয়েছে বেশিরভাগ ছবিতে। সেই নিয়ে ভারী আফসোস রয়েছে তাঁর। ভালো চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছা থাকলেও টলিউডের ‘বিন্দু মাসি’ ভিলেন হিসাবে পরিচিত হয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে খলনায়িকা হলেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর। বিগত কয়েক দশকের সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
সম্প্রতি, ছোটপর্দায় ‘লালকুঠি’ সিরিয়ালের মাধ্যমে কামব্যাক করেছেন অভিনেত্রী। সেখানে তাকে অভিনেত্রী রুকমা রায়ের শ্বাশুড়ির চরিত্রে দেখা যাবে। এদিন সিরিয়ালের গোটা টিম হাজির হয়েছিল দিদি নং ১ এর মঞ্চে রচনা ব্যানার্জীর সাথে হাসি মজা আড্ডা আর খেলায় মেতে উঠতে। মঞ্চে সিরিয়ালের বেশ কিছু খুঁটিনাটির পাশাপাশি নিজের জীবনের অনেক কথা শেয়ার করেছেন অনামিকা সাহা।
অভিনেত্রী জানান, একসময় মেয়ে রাইকে নিয়ে নাকি অনেক কথা শুনতে হয়েছিল শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে। লোকে বলতে মা বাবা যেমন নেচে বেড়ায়, তেমনিই হবে মেয়ে। অর্থাৎ অভিনয়ের জগতেই হয়তো কেরিয়ার তৈরী করবে মা বাবার মত। তবে মা হিসাবে মেয়েকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ভালো করে পড়াশোনা করতে। আজ অভিনেত্রীর মেয়ে সাইকোলজিতে পিএইচডি করেছেন। তাঁর লেখা বই গোটা বিশ্বের ছাত্রদের পড়ানো হয়।
শুধু তাই নয় দিল্লির দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছে মেয়ে। এখানেও শেষ নয়, এরপর একটা দারুন খুশির খবর জানান অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই তিনি মেয়ের রেজিস্ট্রি সেরে ফেলেছেন। দিল্লিতে পার্টি হয়ে গিয়েছে, তবে কলকাতাতেও আগামী মাসেই মেয়ের আইনি বিয়ের পার্টি রাখবেন তিনি। মঞ্চেই নিমন্ত্রণ করেছেন সিরিয়ালের বাকি টিম থেকে রচনাকেও।
জি বাংলার পক্ষ থেকে এই বিশেষ পর্বের একটি ছোট্ট দৃশ্য শেয়ার করা হয়েছে ফেসবুক পেজে। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই বেশ ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ভিডিওতে অভিনেত্রী জানান, একসময় কাজের অভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তবে এখন সিরিয়ালে কাজ করতে পেরে আবারও পুরোনো ফর্মে ফিরেছেন তিনি।