Viral Video : রাজ্য জুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারংবার। শিক্ষা ব্যবস্থার হাল খুবই শোচনীয়। শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্ন উঠে আসছে প্রতিটি পদক্ষেপে। যে শিক্ষকরা নতুন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ার শপথ নিয়ে শিক্ষকতার পেশায় নিজেদের নিযুক্ত করেছেন তাদের অসমর্থ হওয়ার ছবিই কেন বারংবার উঠে আসছে ? তবে কি শিক্ষা ব্যবস্থায় শুধুই দুর্নীতির বাস। যোগ্য শিক্ষকরা কেবল বঞ্চিত হয়ে গেছেন ?
এই প্রশ্ন বারংবার উঠে আসার মূল কারণ বর্তমানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) দুর্নীতির খবর। যে খবর ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পরে মানুষের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি বিশ্বাস হারানোর মূল কারণ হয়ে উঠেছে। আর বর্তমানে এই ধরণের প্রচুর উদাহরণও মানুষের সামনে উঠে আসছে যা তাদের বিশ্বাসকে ক্রমশ দৃঢ় করে তুলছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এইরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যাতে আবারও একবার প্রশ্নের মুখোমুখি শিক্ষকের যোগ্যতা। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্কুলে শিক্ষক অংকের ক্লাস নিচ্ছেন। ব্ল্যাক বোর্ডে অঙ্ক দেখা যাচ্ছে। খুব সাধারণ একটি বিয়োগের সমাধান। কিন্তু ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে শিক্ষক অঙ্কটি করতে গিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছেন। অর্থাৎ তিনি অঙ্কটি করতে পারছেননা।
তাহলে এবার প্রশ্ন হল যে শিক্ষক একটা সাধারণ বিয়োগের সমাধান করতে পারছেননা তিনি শিক্ষার্থীদের কি শিক্ষা দিচ্ছেন ? আর এখানেই বারংবার প্রশ্ন উঠছে শিক্ষকের যোগ্যতায়। শুধু তাই নয়। এই ভিডিওতে শিক্ষকের দুরাবস্থার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের বেয়াদপির প্রমাণও স্পষ্ট। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাককে ব্যাঙ্গ করে বলছে যে স্যার মোবাইলে সমাধান বার করবেননা যেন।
https://youtu.be/5-bBmTYx1y0
দর্শক মহলে এমন একটা ভিডিও চরম নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে। একদিকে যেমন সকলে শিক্ষকের নিন্দা করেছেন অন্যদিকে প্রশ্ন শিক্ষা ব্যবস্থার নজরদারি নিয়েও। একটা স্কুলে কাজ চলাকালীন কিকরে শিক্ষার্থীরা ভিডিও বানাতে পারে। শুধু তাই নয়। স্কুলের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল তো থাকার কথাই নয়। সেটাই বা কেন ? তাহলে শিক্ষার্থীরাই বা কি শিক্ষা পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, একজন শিক্ষকের ব্যার্থতা শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব ফেলে। তেমনই পরিবারের ব্যার্থতাও শিক্ষার্থীর উপর সমান ভাবে প্রভাব ফেলে। একজন শিক্ষার্থী সবার প্রথমে তার গৃহেই শিক্ষা পায়। আর যতদিন পর্যন্ত সে শিখতে থাকে, চিনতে থাকে বা জানতে থাকে তার বাড়িই তার শিক্ষাকেন্দ্র। বর্তমানে অধিকাংশ পরিবার নিজেদের ঠিক-ভুলের মাঝে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেন।