বাঙালিদের খাদ্য প্রীতির সাথে বিশেষ কিছু কিছু খাবার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। কারণ দশকের পর দশক ধরে এই সমস্ত খাবারগুলি পরম তৃপ্তির অনুভূতি দিয়ে আসছে বাঙালি ভোজনরসিকদের। এমনই একটি রান্নার পদ হল চিংড়ি মোচার ঘন্ট। স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ এই মোচার ঘন্টের কথা উল্লেখ করে গিয়েছেন নিজের লেখনীর মধ্যে। আজ সেই মোচার ঘন্টকেই আরো বিশেষ করে চিংড়ি মোচা ঘন্ট তৈরির রেসিপি (Chingri Mocha Ghonto) নিয়ে হাজির হয়েছি বংট্রেন্ডের পর্দায়।
এপার বাংলা হোক বা ওপার বাংলা মোছার ঘন্ট দশকের পর দশক ধরেই মুখের মধ্যে স্বাদের অপূর্ব অনুভূতি বজায় রেখেছে। আর তার সাথে যদি কিছুটা চিংড়ি মাছ যোগ করা যায় তাহলে মুখের মধ্যেই খোঁজ মিলবে স্বাদের স্বর্গের। আজ সেই রান্নারই সহজ রেসিপি তুলে ধরছি আপনাদের সামনে। দেরি না করে বানিয়েই ফেলুন চিংড়ি মাছ দিয়ে মোচার ঘন্ট।
চিংড়ি মোচা ঘন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- মোচা
- আলু
- আধকাপ গোবিন্ধভোগ চাল
- মাঝারি মাপের চিংড়ি মাছ
- হলুদ, জিরে, ধনে গুঁড়ো
- কাঁচালঙ্কা, আদা বাটা আর গোটা লঙ্কা খান চারেক
- গরম মশলা
- সর্ষের তেল, পরিমান মত নুন
- সামান্য ঘি
- গোটা জিরে, এলাচ,দারুচিনি, তেজপাতা ফোড়নের জন্য
চিংড়ি মোচা ঘন্ট তৈরির পদ্ধতিঃ
- সবার আগে গোবিন্দভোগ চাল ভালো করে ধুয়ে আধাঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- ততক্ষনে মোচা ছাড়ানোর কাজ শুরু করতে হবে, মোচা ছাড়ানো হলে কুচি কুচি করে নুন আর হলুদ মিশিয়ে সিঁধ করতে হবে।
- মোচা সিদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে আলাদা করে রাখতে হবে।
- এবার কড়ায় বড় বড় করে কাটা আলু আর চিংড়ি মাছ দিতে হবে। সাথে পরিমাণ মত নুন হলুদ দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
- এবার একটা ছোট পাত্রে হলুদ, জিরে, ধনে গুঁড়ো নিয়ে তাতে সামান্য জল মিশিয়ে নিতে হবে ও সেটিকে আলাদা করে রাখতে হবে।
- কড়ায় সর্ষের তেল দিয়ে ফোরণের সমস্ত উপকরণ দিয়ে দিতে হবে।
- এরপর আদা আর কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়েভালো করে কষতে হবে।
- কষা হয়ে গেলে গোবিন্দভোগ চালটা কড়ার মধ্যে দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে নুন দিতে হবে।
- ভালো করে মশলা ও চাল ণর হয়ে গেলে চিংড়ি মাছ, আলু ও মোচা সেদ্ধ দিয়ে ভালো করে মিশ্রণটিকে নাড়তে হবে।
- ভালো করে ণর হয়ে গেলে পরিমাণ মতো জল ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে।
- মিনিট ১৫ অপেক্ষা করলেই চিংড়ি মোচার ঘন্ট তৈরী হয়ে যাবে। এবার শুধু গরম ভাতের সাথে খাবার অপেক্ষা।