বলিউডের (Bollywood) সবচেয়ে সাহসী অভিনেতা হিসেবে যাঁর নাম উঠে আসে তিনি হলেন ইমরান হাশমি (Emraan Hashmi)। ঘনিষ্ঠ দৃশ্য হোক বা রোমাঞ্চকর দৃশ্য, গুরুগম্ভীর দৃশ্য হোক বা রোম্যান্টিক চুম্বন দৃশ্য, সবেতেই সমান সাবলীল তিনি। বলিউডের ‘কিসিং গড’ বা ‘সিরিয়াল কিসার’ বলেও ডাকা হয় তাকে। কেননা একসময় ইমরানের সিনেমা আর ঘনিষ্ঠ দৃশ্য যেন সমার্থক ছিল।
২০০৩ সালে বিক্রম ভাটের ছবি ‘ফুটপাথ’ দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন ইমরান। প্রথম ছবিতে সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেননি অভিনেতা। তবে এরপর থেকে একাধিক ছবির অফার পেতে শুরু করেন। শেষে ২০০৮ সালে আসে ‘জন্নত’ ছবিটি ইমরান হাশমির দুনিয়া বদলে দিয়েছিল। এরপর থেকে একেরপর এক সুপার হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অভিনেতা।
তবে ইমরানের কেরিয়ারের গ্রাফ তরতরিয়ে উঠলেও তার সহ অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের (Tanushree Dutta) কেরিয়ার কার্যত শেষ হয়ে যায় অভিনেতার সঙ্গে একটি ছবি করার পরেই। ২০০৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘আশিক বানায়া আপনে’ ছবিটি । সেই সময় বক্স অফিসে চূড়ান্ত হিট হয় ছবিটি। এই ছবিতে ইমরান হাশমির সঙ্গে একাধিক অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখা মিলেছিল অভিনেত্রীর৷
তাই কেরিয়ারের প্রথম দিকেই ‘হট’ অভিনেত্রীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় তনুশ্রীর নাম। ‘আশিক বানায়া আপনে’ ছবি থেকে শুরু করে ছবির গান সমস্তই অভিনেত্রীকে সাফল্যের চূড়াতে পৌঁছে দিয়েছিল, কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন টেকেনি।
কেননা এরপর থেকে তিনি যতগুলি ছবির অফার পেয়েছেন সবই ওই ধরণের। সময়ে অভিনেত্রী একটু অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন, কেবল ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে নয়। এরপর ধীরে ধীরে বড়পর্দা থেকে হারিয়েই যান অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত।