গানের দুনিয়ার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন কিশোর কুমার (Kishore Kumar)। প্রয়াণের এত বছর পরেও গায়কের অগুনতি ভক্ত রয়েছে। এদেশের সংগীতের জগতের সেরা শিল্পীদের নাম যখনই নেওয়া হবে, তখনও উঠে আসবে আভাস কুমার গাঙ্গুলি ওরফে কিশোর কুমারের গান। গানের দুনিয়ায় সত্যিই আর দ্বিতীয় কিশোর কুমার আসবে না।
সংগীতের দুনিয়ার সেই সম্রাটেরই আজ মৃত্যুদিন। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর অর্থাৎ আজকের দিনেই চিরবিদায় নিয়েছিলেন এই নামী গায়ক। আজকের প্রতিবেদনে সেই কিশোর কুমারের বিষয়েই একাধিক অজানা কাহিনী (Unknown facts) তুলে ধরা হবে।
কিশোর কুমারের জন্ম এক শিল্পী পরিবারে। নিজের জীবনে অনেক খ্যাতি, যশ, অর্থ, ভালোবাসা অর্জন করলেও, গায়কের শেষ জীবনটা কেটেছিল খানিক বিষাদে। তবে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তাঁর ঠোঁটের কোণায় লেগেছিল হাসি। শোনা যায়, মৃত্যুদিনেও স্ত্রী’র সঙ্গে অনায়াসে মজার ছলে কথা বলেছিলেন তিনি।
কথাতেই আছে শিল্পী মানুষরা একটু খামখেয়ালি গোছের হয়। কিশোর কুমারকে দেখা বোঝা যায় কথাটি ঠিক কতখানি সত্যি। বাড়ি থেকে শুরু করে গানের স্টুডিও বহু জায়গাতেই তাঁর উদ্ভট কাণ্ডকারখানার সাক্ষী থেকেছেন অনেকে। শোনা যায়, ওয়ার্ডেন রোডের নিজের বাড়ির সামনে তিনি একবার একটি নেমপ্লেট ঝুলিয়েছিলেন, যেখানে লেখা ছিল ‘কিশোর কুমার হতে সাবধান’। শুধু তাই নয়, জানা যায় মধ্যপ্রদেশে যে বাড়িতে গায়কের জন্ম সেই বাড়ির বাইরে ‘মেন্টাল হসপিটাল’ লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।
শুধু এটুকুই নয়, শোনা যায় মৃত্যুদিনে কিশোর কুমারের শরীর বেশ খারাপ ছিল তাঁর স্ত্রী চিকিৎসককে খবর দিতে চেয়েছিলেন। কন্তু সেই সময় গায়ক বলেন, ‘তুমি যদি চিকিৎসককে খবর দাও, তাহলে আমার হার্ট অ্যাটাক হবে’। শোনা যায়, মজার ছলে একথা বলার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন তিনি।
এক কথায় কিশোর কুমার ছিলেন একজন আদ্যপান্ত রসিক মানুষ। সেই কারণেই তো তাঁর মৃত্যুর এত বছর পরেও অনুরাগীরা চোখের জল ফেলেন। তাঁর গাওয়া সকল গান এখনও সবার মুখে মুখে ঘোরে। তাঁর গাওয়া গানের জনপ্রিয়তা এখনও একটুও কমেনি।