ভাইরাল গান “কাঁচা বাদাম” (Kacha Badam) গান সকলেই নিশ্চই শুনেছেন। আর এই গানেই কোমর দুলিয়ে সুপার ভাইরাল হয়েছিলেন অঞ্জলি অরোরা (Anjali Arora)। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে এখন ছবি, ভিডিও পোস্ট করেও টাকা আয় করা প্রচণ্ড সহজ হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সারের (Social media influencer) কাজ করে কয়েক কোটি টাকা আয় করেন এমন উদাহরণ ভুরিভুরি রয়েছে। অঞ্জলিও তাদের মধ্যেই একজন।
ভুবন বাদ্যকরের ‘কাঁচা বাদাম’ গানে কোমর দুলিয়ে রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশনে পরিণত হয়েছিলেন অঞ্জলি। এরপর কয়েক মাস আগে গোপন এমএমএস ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর আরও বেশি করে চর্চার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি। অনেকে তখন যেমন অঞ্জলিকে সমবেদনা জানিয়েছিলেন, তেমনই আবার অনেকে ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’ বলে খোঁচাও মেরেছিলেন।
তবে সত্যি যাই হোক না কেন, গোপন এমএমএস ভাইরাল হওয়ার পর থেকে অঞ্জলির জনপ্রিয়তা যে আরও বেশ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। জানলে হয়তো অবাক লাগবে শুধুমাত্র একটি মাত্র পোস্ট করেই বেশ কয়েক লাখ টাকা আয় করেন তিনি।
জানিয়ে রাখি, ইনস্টাগ্রামে অঞ্জলি বেশ জনপ্রিয়। সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ১১.২ মিলিয়ন। জানা গিয়েছে, এত ফলোয়ার থাকার কারণে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাছে অঞ্জলির ‘ভ্যালু’ও অনেক বেশি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে একটি ব্র্যান্ডে প্রচার করে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।
‘কাঁচা বাদাম গার্ল’এর কেরিয়ারের দিক থেকে বলা হলে, ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন টিকটকের হাত ধরে জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করেন তিনি। তবে সেই অ্যাপ এদেশে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে রিলস বানান অঞ্জলি। এরপর কঙ্গনা রানাউত সঞ্চালিত ‘লক আপ’ শো’য়ে ডাক পাওয়ার পরই বদলে যায় তাঁর জীবন।
শোনা যায়, কঙ্গনার শোয়ের জন্য প্রতি সপ্তাহে ৩-৪লাখ টাকার মোটা পারিশ্রমিক নিতেন ‘কাঁচা মাদাম গার্ল’। এছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচার, মডেলিং, মিউজিক ভিডিও থেকেও ভালোই আয় করেন অঞ্জলি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে অঞ্জলির মাসিক আয় ৫০ লাখ টাকা। ‘লক আপ’ খ্যাত এই সোশ্যাল মিডিয়া স্টার এখন প্রায় ৩ কোটি টাকার মালকিন।