‘নেপোটিজম’ (Nepotism) বিতর্কে বরাবরই সরগরম থেকেছে বলিউড (Bollywood)। কঙ্গনা রানাউত থেকে রাজকুমার রাও- বি টাউনের একাধিক নামী তারকা এই বিষয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, স্টারকিডদের (Star kids) জন্য প্রতিভাবান শিল্পীরা বলিউডে যথাযথ সুযোগ পান না। যদিও এই হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই এমন অনেক তারকা রয়েছেন যারা সুপারস্টারদের সন্তান হলেও কেরিয়ারে সেভাবে সফল হতে পারেননি। আজকের প্রতিবেদনে এমনই ৬ ‘ফ্লপ’ স্টারকিডের নাম তুলে ধরা হল।
তুষার কাপুর (Tusshar Kapoor)- বলিউড সুপারস্টার জীতেন্দ্রর ছেলে তুষার ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন ২০০১ সালে। তাঁর ডেবিউ ছবি ছিল ‘মুঝে কুছ কেহনা হ্যায়’। যদিও বি টাউনে এতগুলো বছর কাটিয়ে ফেলার পরেও নায়ক হিসেবে একটি হিট ছবিও দিতে পারেননি তিনি।
সোহা আলি খান (Soha Ali Khan)- বি টাউনের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের মেয়ে সোহার নামও তালিকায় রয়েছে। ২০০৪ সালে ‘দিল মাঙ্গে মোর’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। তবে ‘রঙ দে বসন্তী’ বাদে সোহার কেরিয়ারে কোনও হিট ছবি নেই।
তানিশা মুখার্জি (Tanishaa Mukerji)- বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তনুজার মেয়ে ও সুপারস্টার কাজলের বোন হওয়া সত্ত্বেও বলিউডে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি তানিশা। বি টাউনে তাঁকে খুব একটা দেখা না গেলেও, জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস ৭’এ অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি।
ফারদীন খান (Fardeen Khan)- হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নামী অভিনেতা ফিরোজ খানের ছেলে ফারদীন খানের নামও লিস্টে রয়েছে। ১৯৯৮ সালে ‘প্রেম আগন’ ছবির মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন তিনি। প্রথম ছবির জন্যই ফিল্মফেয়ার বেস্ট ডেবিউর পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। ডেবিউ সিনেমা বাদে ফরদীনের ঝুলিতে হিট ছবি নেই বললেই চলে। ব্যাক টু ব্যাক ফ্লপ দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি থেকেই হারিয়ে গিয়েছেন তিনি।
প্রতীক বব্বর (Prateik Babbar)- রাজ বব্বর এবং স্মিতা পাটিলের ছেলে প্রতীক নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জানে তু ইয়া জানে না’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু ডেবিউ ছবির পর দর্শকমনে আর সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি প্রতীক।
এষা দেওল (Esha Deol)- বলিউডের দুই সুপারস্টার ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর কন্যা এষার নামও তালিকায় রয়েছে। ২০০২ সালে ‘কোই মেরে দিল সে পুছে’র হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন তিনি।
প্রথম ছবির জন্য ধর্মেন্দ্র-কন্যা ফিল্মফেয়ার বেস্ট ডেবিউর পুরস্কারও পেয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকেই এষার একের পর এক ছবি ফ্লপ হতে থাকে। আস্তে আস্তে ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান তিনি।