কথায় আছে, ফ্যাশান (Fashion) হল এক ধরণের ‘আর্ট’। তবে তাই বলে একেবারেই এটা জরুরি নয় যে প্রত্যেকেই ‘ফ্যাশানিস্তা’ হবেন কিংবা এই বিশেষ আর্টে PhD করে রাখবেন। কিছু কিছু মানুষ ফ্যাশানের নামে এমন সব পোশাক পরেছেন যা দেখলে হাসি চেপে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। সাধারণ পোশাক না বেছে অসাধারণ সাজতে গিয়ে চরম বিপত্তি (Epic fail) বাঁধিয়েছেন অনেকেই। এমন নিদর্শন প্রচুর আছে। ফ্যাশানের সীমা বাড়াতে গিয়ে তাঁরা এমন কিছু পোশাক পরেছেন, যা দেখলে বাহবা দেওয়া তো দূর, বরং হাসি পায়।
ফ্লাওয়ার পট স্টাইল- দেখে মনে হচ্ছে, মডেলটি যেন ঠিকই করেছিলেন তিনিই ফুলদানি সাজবেনই সাজবেন। সেই কারণে র্যাম্পেই ওইভাবে সেজে চলে গিয়েছিলেন। মাথায় আবার রপ্যেছে ধূসর রঙের ফুলও।
ধোপার কাপড় স্টাইল- এই মডেলকে দেখে মনে হচ্ছে না একজন ধোপা কাঁচার জন্য এত বেশি কাপড় পেয়েছেন যে ঠিকভাবে ধরতে পারছেন না? আবার এও মনে হচ্ছে যে, তাড়াহুড়োর সময় সংশ্লিষ্ট মডেল হাতের কাছে যা কাপড় পেয়েছে সব কিছু গায়ে জড়িয়েই চলে এসেছেন।
হাত মোজা স্টাইল- দেখে মনে হচ্ছে কোনও মার্কেটে হয়তো হাত মোজা বিক্রিতে ‘একটার সঙ্গে একটা ফ্রি’ অফার চলছিল। আর এই মডেল সেই অফার একেবারে লুফে নিয়েছেন। এরপর সব হাত মোজা জুড়ে বানিয়ে নিয়েছেন একটি পোশাক।
Jaw Dropping স্টাইল- সত্যিই এই পোশাকটি দেখে মুখ খোলাই থেকে যাবে। মাথা থেকে শুরু করে পা অবধি আউটফিটের সবটুকুই যেন নজর কাড়বে। তবে হয়তো সবচেয়ে বেশি মডেলের মুখের স্টাইলটি।
চিড়িয়াখানা স্টাইল- এটা ঠিক কেমন স্টাইল কেউ বলতে পারবেন? মাথায় বাসা সহ পাখি রাখা, হাতে ধরা একটি কুকুর। মনে হচ্ছে না সোজা চিড়িয়াখানা থেকে চলে এসেছেন তিনি?
সিংহের রানী স্টাইল- গায়ে সোনালি রঙের পোশাক, কাঁধের কাছে রাখা রয়েছে একটি পুতুল সিংহের মুখ আর হাতে ধরা একটি কুকুর। চুলের রঙও আবার সোনালি। দেখে মনে হচ্ছে, ‘ইচ্ছাধারী সিং’হ’ বলে কিছু থাকলে হয়তো এমনই দেখতে হতো।
খাঁচা স্টাইল- দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল মডেলকে, তবে মাথায় খাঁচা রাখার কী দরকার ছিল? দেখে মনে হচ্ছে না মাথায় করে কোনও পাখি ধরে নিয়ে যাবেন বলে অমন সেজে এসেছেন তিনি?
খাবার স্টাইল- কেন কেন কেন? এমনটা কি না করলেই হতো না? হয়তো উনি নন-ভেজ খাবার খেতে খুবই ভালোবাসেন তাই বলে সারা গায়ে সসেজ জড়িয়ে চলে আসবেন?
হাতে আবার রয়েছে দু’টি পানীয়ের বোতলও। খাবার জড়ানো এই স্টাইল দেখে কেমন লাগল আপনার?