টলিউডের নামী অভিনেত্রীদের (Tollywood actress) মধ্যে একজন হলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। একসময় ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন তিনি। অবশ্য শুধুমাত্র টলিউডেই নয়, ‘দিদি নম্বর ১’ রচনা কাজ করেছেন বলিউড, দক্ষিণী, ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতেও। কাজের মাধ্যমে তৈরি করেছেন নিজের পরিচিতি। আর এখন তো ‘রচনা’ নামটাই যথেষ্ট। আলাদা করে অভিনেত্রীর কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন পড়ে না।
বিনোদন দুনিয়ায় পা রেখেছেন কয়েক দশক হয়ে গেলেও এখনও কিন্তু একেবারে অটুট রয়েছে রচনার গ্ল্যামার। ৫০ বছর হতে চলল অভিনেত্রীর, তবুও এখন গ্ল্যামার, সৌন্দর্যে তিনি টেক্কা দিতে পারেন যে কোনও অষ্টাদশীকে। কিন্তু কোন ‘গোপন’ উপায়ে নিজের যৌবন এখনও ধরে রেখেছেন তিনি? আজকের প্রতিবেদনে সেই সিক্রেটই (Beauty secret) শেয়ার করা হল।
দেখতে দেখতে রচনার বয়স ৪৮ বছর হয়ে গিয়েছে। আর ২ বছর পরই ‘হাফ সেঞ্চুরি’ হয়ে যাবে অভিনেত্রীর। তবে তা সত্ত্বেও তাঁর মেদবিহীন ছিপছিপে চেহারা এবং টানটান উজ্জ্বল ত্বক দেখে সেকথা বোঝা দায়। আসলে ‘দিদি নম্বর ১’ নিজের শরীরের যত্ন নিতে কোনও খামতি রাখেন না।
রচনা সব সময় কড়া নিয়মের মধ্যে থাকেন। নিজের ‘বিউটি সিক্রেট’ নিয়েও কোনোদিন কোনও রকমের লুকোচুরি করেননি তিনি। একবার নিজের বিউটি সিক্রেট সম্বন্ধে বলতে গিয়ে টলি সুন্দরী বলেছিলেন, নিজের শরীর সতেজ রাখার জন্য তিনি সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন। দিনে কম করে ২ লিটার জল তিনি খাবেনই খাবেন।
এছাড়াও রচনার ব্যাগে সব সময় থাকে সানস্ক্রিন। সূর্যের ক্ষতিকর ‘ইউভি রশ্মি’ যাতে তাঁর চামড়ার কোনও ক্ষতি না করতে পারে, সেই জন্য সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন অভিনেত্রী। আসলে বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখার পরপরই সূর্যের এই রশ্মির জেরেই প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল টলি সুন্দরীর ত্বক। এরপর থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সমসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন তিনি।
এই জিনিসগুলি ছাড়াও ‘দিদি নম্বর ১’ রচনা নিজের কড়া ডায়েটে কখনও ফাঁকি দেন না। জাঙ্ক ফুড খান না তিনি, অভিনেত্রীর খাদ্যতালিকায় থাকে শাক সবজি এবং প্রচুর পরিমাণে ফল। পাশাপাশি চুলের খেয়াল রাখার জন্য বরাবর স্রেফ নারকেল তেল এবং চুলের ধরণ অনুযায়ী শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করেন টলি সুন্দরী। এই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমেই এখনও নিজের যৌবন ধরে রেখেছেন পর্দার ‘দিদি নম্বর ১’।