আমির খান (Aamir Khan) অভিনীত ব্লকবাস্টার ছবি ‘তারে জমিন পর’এ (Taare Zameen Par) ছোট্ট ঈশানের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছিল খুদে দর্শিল সাফারি (Darsheel Safary)। ওইটুকু বয়সে ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত শিশুর চরিত্রে তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন দর্শকরা। ছবিটি রিলিজ করেছে প্রায় ১৫ বছর হয়ে গেলেও দর্শকরা কিন্তু এখনও ঈশানকে ভোলেনি।
ডিসলেক্সিয়ার মতো অসুখে আক্রান্ত ছেলে, অথচ মা-বাবা কেউ জানত না। পড়াশোনা ঠিকভাবে করতে না পারায় মা-বাবা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে প্রচুর বকুনি খেয়েছে ঈশান। সেই সঙ্গেই ছিল সহপাঠীদের টোন-টিটকিরি। ১০ বছরের ছোট্ট ঈশানের কাহিনী এখনও চোখ ভিজিয়ে দেয় দর্শকদের। সেই সঙ্গেই মুগ্ধ করে আমির খানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাঁর অভিনয়।
ছোট্ট বয়সে আমিরের মতো পোড় খাওয়া অভিনেতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা চারটি খানি কথা নয়। কিন্তু ছোট্ট দর্শিল সেই অসাধ্য সাধন করেছিলেন। দর্শকদের সঙ্গে সঙ্গেই চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদেরও প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিলেন তিনি। এই ছবির দৌলতেই পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার।
তবে জানিয়ে রাখি, ‘তারে জমিন পর’এর সেই ছোট্ট ঈশান কিন্তু এখন আর ছোট্টটি নেই। ১০ বছরের দর্শিল এখন ২৫ বছরের তরুণ। পাল্টে গিয়েছে সম্পূর্ণ চেহারা। অভিনেতাকে এক ঝলক দেখলে চেনা দায়। দর্শকদের প্রিয় পুঁচকে ঈশান এখন হ্যান্ডসাম হাঙ্ক হয়ে গিয়েছেন।
ছোট্ট বয়সে অভিনয়ে হাতেখড়ি হওয়ার পর থেকে সেই পেশাই বেছে নিয়েছেন দর্শিল। ইদানীং শর্ট ফিল্মে অভিনয় করছেন তিনি। সদ্য ‘ড্রামাইয়ামা’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে দেখা গিয়েছে, বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনের কন্যা রেনেকে। শর্ট ফিল্মে অভিনয় করা ছাড়াও দর্শিল বিজ্ঞাপন এবং একটি একটি মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেছেন।
‘তারে জমিন পর’এর ঈশান বড়পর্দা থেকে দূরে থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কিন্তু বেশ অ্যাক্টিভ। সেখানে প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি মানুষ ফলো করে তাঁকে। দর্শিল অনুরাগীদের বক্তব্য, অভিনেতাকে দেখতে অনেকটা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার স্বামী নিক জোনাসের মতো। কেউ আবার বলেন, ‘মানি হাইস্ট’এর হ্যান্ডসাম প্রফেসরের সঙ্গে মুখের মিল রয়েছে দর্শিলের। আপাতত ছোট্ট ঈশানকে নায়ক হিসেবে দেখার জন্যই মুখিয়ে রয়েছেন অনুরাগীরা।