সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই নেটিজেনদের ট্রোলের মুখে পড়া আজকাল যেন একেবারে জলভাতে পরিণত হয়েছে। পান থেকে চুন খসলেই শুরু হয়ে যায় নেটপাড়ার বাসিন্দাদের নীতি পুলিশি। বিশেষ করে পছন্দের পোশাক পরে সেলেবদের ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ার বিষয়টি মোটেই নতুন নয়। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির এমনই একজন অভিনেত্রী হলেন স্বস্তিকা মুখার্জী (Swastika Mukherjee)।
জনপ্রিয় প্রবাদ ‘বিউটি উইথ ব্রেইন’ কথাটির উপযুক্ত উদাহরণ হলেন স্বস্তিকা। তাছাড়া স্পষ্টবাদী হিসাবে ইন্ডাস্ট্রি তে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে অভিনেত্রীর। তাই বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের নিন্দার ধার ধারেন না অভিনেত্রী। বরাবরই তার ছকভাঙা ড্রেসিং সেন্স কিংবা স্টাইল স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়ায় অনেক মানুষের মাথা ব্যাথার কারণ। তবে বরাবরই সেসব পাত্তা না দিয়ে একেবারে নিজের শর্তে জীবনটাকে একেবারে চুটিয়ে উপভোগ করেন অভিনেত্রী।
খোলামেলা পোশাক হোক কিংবা নিত্যনতুন চুলের স্টাইল সবকিছু নিয়ে মাঝে মধ্যেই এক্সপেরিমেন্ট করে থাকেন অভিনেত্রী। আর তাতেই কমেন্ট সেকশনে ওঠে অত্যন্ত নিন্ম রুচির মন্তব্যের ঝড়। কিন্তু স্বস্তিকা বুঝেছেন ওই কমেন্ট সেকশনের ওপর তাঁর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই ওইসব মন্তব্যের উত্তর না দিয়ে পুরোপুরি ইগনোর করে যান অভিনেত্রী।
ফালতু সব কমেন্টের উত্তর দিয়ে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট না করাই শ্রেয় মনে করেন অভিনেত্রী। তবে এই ধরনের কুমন্তব্য দেখে কি একেবারেই বিচলিত হন না স্বস্তিকা, কিংবা কোথাও গিয়ে কি এই ধরনের মন্তব্য দেখে একবারের জন্যও খারাপ লাগে না অভিনেত্রীর! সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে একেবারে স্পষ্ট জবাব দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
এভারগ্রীন স্বস্তিকা জানিয়েছেন বর্তমানে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো রকম ট্রোলিংয়েই (Trolling) কান দেন না। তবে সেই সাথে অভিনেত্রী জানিয়েছেন একথা ঠিক যখন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সবে সবে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন অর্থাৎ শুরুদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য দেখে খারাপ লাগত তার। কিন্তু ইদানীং তিনি আর কোনো কমেন্টই দেখেন না। তাছাড়া অভিনেত্রীর কথায় তিনি জানেন ভালো খারাপের মধ্যেকার পার্থক্য টুকু। তাই খারাপ টাকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ভালো টুকুই গ্রহণ করেন অভিনেত্রী।