রনি নামের এক ছেলেকে নাকি পড়ান স্বস্তিকা। আর রনিকে পোড়ানোর সময়ই তার বাবা বারবার নজর কেড়ে নেন স্বস্তিকার। নিয়মিত শরীরচর্চা করেন রনির বাবা। আর তাই দেখেই রনিকে পড়াতে বেজায় মুশকিলে পড়েন স্বস্তিকা। তাই থাকতে না পেরে শেষ মেশ অভিযোগ জানাতে ফোন করলেন রনির বাবাকেই।
ফোন করে বললেন, ‘আমি রনির টিচার বলছি। আপনি কেন বার বার ঘরে আসেন বলুন তো’! উত্তরে রনির বাবা বলেন, আসলে নিজেকে ফিট রাখা আর শরীরচর্চাটা হল আমার প্যাশন’। এরপর চলতে থাকে নানান কথা, ধীরে ধীরে ম্যান অভিমান প্রকাশ পায় স্বস্তিকার গলায়। রনির বাবাকে দেখতে না পেয়ে নাকি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্বস্তিকা। সেই অভিমান ভাঙাতে শেষমেশ ঠিক হয় যে স্বস্তিকাকে নিয়ে দিঘায় ঘুরতে যাবেন রনির বাবা।
শুধু তাই নয়, দিঘায় গিয়ে কোন হোটেলে থাকবেন তাও পাকা হয়ে গিয়েছিল। তবে, প্রথম থেকেই মাঝে মধ্যে ব্যগরা দিচ্ছিল হোটেলের ম্যানেজার, শেষেও একেবারে ফোন কেড়ে নিলেন স্বস্তিকার থেকে আর জানালেন যে রনির বাবা আসলে মুর্গা হয়েছেন তার কাছে। বুঝলেন না! আসলে হোটেল ম্যানেজার আর কেউ নন তিনি হলেন রেডিও জকি প্রবীণ। রেডিও ৯৩.৫ এফএম (Radio 93.5 FM) এর রেডিও জকি তিনি। সেখানে ‘রেড মুরগা (Red Murga)’ বলে একটি শোতে ফোন করে বোকা বানানো হয় মাঝেমধ্যেই।
এদিন ‘রেড মুরগার’ সেটে প্রবীণের সাথে উপস্থিত ছিলেন স্বস্তিকা মুখার্জী। আর সেখান থেকেই রনি নামক এক ছেলের বাবার সাথে প্যারেন্ট টিচার মিটিং এর নাম এই ভাবে মশকরা করা হয়। অভিনেত্রী নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে এই গোটা ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর তারপর থেকেই তা ভাইরাল হয়েপড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
View this post on Instagram