দেশের প্রথম বিশ্বসুন্দরীর (Miss Universe) মুকুট জিতে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন বঙ্গ তনয়া সুস্মিতা সেন Sushmita Sen)। যা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। সালটা ছিল ১৯৯৪। সেসময় মাত্র ১৮ বছর বয়সেই মিস ইউনিভার্সের মুকুট উঠেছিল আজকের এই খ্যাতনামা বলিউড অভিনেত্রীর (Bollywood Actress) মাথায়। তার হাত ধরেই সেবছর প্রথম বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল ভারতের মুখ। তবে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এক অবাক করে দেওয়া ঘটনা।
জানা গেছে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতলেও সেসময় মিস ইউনিভার্সের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইংরাজিতে করা বিচারকদের একটি প্রশ্নের অর্থই বুঝতে পারেননি সুস্মিতা। সম্প্রতি একথা সকলের সামনে স্বীকার করে নিয়েছেন সুস্মিতা নিজেই! আর এর জন্য অভিনেত্রীর আজও কোনও রকম আফশোস নেই ।প্রসঙ্গত সুস্মিতা ছিলেন আজন্ম হিন্দি মিডিয়াম (Hindi Medium) স্কুলে পড়াশোনা করা ছাত্রী। আর সেসময় তার বয়সটাও ছিল অনেক কম। তাই সেসময় তিনি ইংরাজিতে অতটাও সড়গঢ় ছিলেন না।
তাই অভিনেত্রী জানিয়েছেন ওই প্রতিযোগিতায় যখন তাঁকে ইংরাজিতে (English) শেষ প্রশ্নটি করা হয় তার অর্থই নাকি তিনি সেসময় ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেননি! সম্প্রতি এই বিশ্বসুন্দরী অভিনেত্রী তার ছোট মেয়ে আলিশার স্কুল পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেই ফাঁস করেছেন একথা। প্রসঙ্গত ওই প্রতিযোগিতায় সুস্মিতা কে ইংরেজিতে করা শেষ প্রশ্নটির বাংলা তর্জমা করলে অর্থ দাঁড়ায় ‘নারীত্বের অর্থ ঠিক কী তাঁর কাছে?’ সে পুরনো স্মৃতি হাতড়ে সম্প্রতি সুস্মিতা জানিয়েছেন, ‘প্রথমত আজীবন হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পড়ার দরুণ ইংরেজিতে তখনও সেভাবে সড়গড় ছিলাম না। স্বভাবতই মঞ্চেও তখন ওই প্রশ্নের ঠিকঠাক অর্থ বুঝে উঠতে পারিনি।’
এরপরেই সুস্মিতা বলেন ‘তবে যে ভীষণ পরিষ্কারভাবে ও দৃঢ়তার সঙ্গে ওই প্রশ্নের জবাব দিতে পেরেছিলাম তাও আবার ওই বয়সে, তা ভাবলে অবাক লাগে। কীভাবে দিতে পেরেছিলাম ওই জবাব তা আজও জানি না। হয়তো ঈশ্বর স্বয়ং আমার জিভে ভর করেছিলেন। আর হয়ত মনে মনে উনি ভেবেছিলেন ওই কথাগুলি আমার বলা উচিত কারণ সেরকমভাবেই পরবর্তী সময়ে আমি আমার জীবনের গতিপথ ঠিক করব।’
সেইসাথে অভিনেত্রী আরও বলে চলেন, ‘আমি সেদিন মিস ইউনিভার্সের মঞ্চ থেকে এই প্রশ্নের জবাবে বলেছিলাম নারী হয়ে জন্মানোটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আজও ভীষণভাবে সেকথায় বিশ্বাসী। এবং আমাদের সকলেরই তা বোঝা উচিত। কারণ জীবনের অন্যতম অর্থ তো উপলব্ধি করা। বলতে চাইছি, নারী মানেই সন্তান উৎপাদনের কোনও যন্ত্র নয়। তাই নারী মানে শুধুই একজন মা, এমনটি নয়। নারীরাই পারেন এই বিশ্বকে বোঝাতে ভালোবাসা, যত্ন এবং একসঙ্গে বেঁচে থাকার প্রকৃত অর্থ।’