সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু (Sushant Singh Rajput death) হয়েছে ২ বছরেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালের ১৪ জুন প্রয়াত হয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু এতটা সময় পেরিয়ে গেলেও, তাঁর মৃত্যু রহস্য এখনও সমাধান হয়নি। বরং সময়ের সঙ্গে তা আরও জটিল হয়েছে। সম্প্রতি যেমন, অভিনেতার মৃত্যু প্রসঙ্গে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন তাঁর দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং (Priyanka Singh)।
সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা দাবি করেছেন, তাঁর ভাই নিজের প্রাণনাশ করেননি। বরং তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় পুলিশের তদন্তের দিকেও আঙুল তুলেছেন পেশায় ক্রিমিনাল আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা।
অভিনেতার দিদি বলেন, ‘সেদিন যা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ দুনিয়া দেখেছে। ওটা পিকনিক স্পট হয়ে গিয়েছিল। আমি যখন রাতে ওখানে যাই, তখন দরজায় হলুদ রঙের টেপের মতো কিছু একটা লেগেছিল। সেটাকে সরাতে ৮-৯ দিন লেগেছিল। তারপর যখন দরজা খুলেছিল, আমি প্রথমবার ওই ঘরে যাই’।
প্রিয়াঙ্কার মতে, তিনি নিজে যেহেতু পেশায় ক্রিমিনাল আইনজীবী, তাই এই ধরণের আত্মহননের ঘটনা তিনি আগেও দেখেছেন। সেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির শরীরে বেশ কিছু অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু সুশান্তের শরীরে এমন কিছুই ছিল না। তাঁর সংযোজন, ‘আমি কিছুদিন পর ওই ঘরে যাই। আমি ছাদের দিকে তালিয়ে বুঝতে পারি ও এমন করতে পারে না। যেখানে ও আত্মহত্যা করেছিল বলা হচ্ছে, আমি সেই জায়গাটাও দেখি। কিন্তু বিছানা থেকে ছাদ পর্যন্ত সুশান্তের উচ্চতা অবধি দূরত্বও ছিল না। একেবারেই খুব বেশি দূরত্ব ছিল না’।
শুধু তাই নয়, সুশান্তের দিদির সংযোজন, অভিনেতার উচ্চতা নিয়েও কাঁটাছেঁড়া করা হয়েছে। তাঁর মতে, ‘ওই দিন সকালে সুশান্তের উচ্চতা বদলে দেওয়া হয়েছিল। ওঁর উচ্চতা ৬ ফুট ১৮৩ সেমি থেকে ৫ ফুট ১০ ইঞ্চির আশেপাশে করে দেওয়া হয়েছিল’।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই লাগাতার নিজের ভাইয়ের ন্যায়ের জন্য লড়ে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা। হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে তিনি সিবিআই এবং এনসিবি’র দিকেও মাঝেমধ্যে আঙুল তুলেছিলেন। প্রিয়াঙ্কার মতে, তাঁর ভাইয়ের মনে কখনও আত্মহত্যার খেয়াল আসেনি। উল্লেখ্য, সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর পরিবার তাঁর তৎকালীন প্রেমিকা, অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর দিকে আঙুল তুলেছে। তাঁকেই এই কাজের জন্য বারংবার দায়ী করেছেন তাঁরা।