গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৪ জুন এক রবিবারের দুপুরে আচমকাই বলিউডের (Bollywood) উঠতি সুপারস্টার এর মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। কথা হচ্ছে প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত(Sushant Singh Rajput)কে নিয়ে। মৃত্যুর এক বছর পরেও আজও সমান জনপ্রিয় তিনি। সেইসাথে প্রাসঙ্গিক রহস্যে মোড়া তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ।
তবে অভিনয় জগতে সুশান্তের স্ট্রাগল থেকে শুরু করে রহস্যজনক মৃত্যু সবকিছুতেই চিত্রনাট্য রয়েছে টানটান চিত্রনাট্যের ছোঁয়া। সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবনী নিয়ে তৈরি এমনই একটি সিনেমা হল ‘ন্যায়: দ্য জাস্টিস’(Nyaay :The Justice)। এই ছবির ছবির পরিচালক দিলিপ গুলাটি,এবং প্রযোজনা করেছেন রাহুল শর্মা ও সরলা সারৌগি। গত মাসেই সুশান্তের মৃত্যু বার্ষীকীর আগেই ১১ জুন মুক্তি পেয়েছে এই ছবি।
মৃত্যু রহস্যের সমাধান না হলেও সুশান্তের জীবনী নিয়ে সিনেমা তৈরি করতে একেবারে হামলে পড়েছিলেন একাধিক পরিচালক, প্রযোজকরা। আর এখানেই আপত্তি জানিয়েছিলেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং(K K Singh)। তাঁর দাবি এমন অমীমাংসিত একটি বিষয় নিয়ে কীভাবে ছবি তৈরি করা যায়? যেখানে সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা না খুন তাই প্রমাণ হয়নি সেখানে প্রয়াত অভিনেতার জীবনী নির্ভর ছবিতে কিভাবে নায়কের আত্মহত্যা দেখানো হচ্ছে? এমনই একাধিক প্রশ্ন তুলে ছবি মুক্তির উপর স্থগিতাদেশ জারির জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর আর্জি খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার সিঙ্গল বেঞ্চ।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, এই ছবি যে সুশান্তের বায়োপিক তার নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই। ছবিতে প্রয়াত অভিনেতার নাম উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া তাঁকে কোনো রকম বিদ্রুপও করা হয়নি। আদালতের রায়ে খুশি হয়ে প্রযোজক রাহুল শর্মা বলেছিলেন ‘এই ছবিটি অর্থ উপার্জনের জন্য নয়, সুশান্ত সিংয়ের ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য তৈরি।’
ছবি মুক্ত প্রসঙ্গে সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী হরিশ সালভে দাবি করেছেন, প্রযোজক এবং পরিচালকরা সুশান্তের চর্চিত আত্মহত্যার কাহিনি থেকে টাকা উপার্জনের উদ্দেশ্যে এই ছবি তৈরি করেছেন। যদিও সাময়িকভাবে সেই দাবি গ্রহণ করেনি আদালত।উল্লেখ্য ছবিতে সুশান্তের ভূমিকায় রয়েছেন টিভি অভিনেতা জুবের কে খান। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর চরিত্রে রয়েছেন শ্রেয়া শুক্লা। ছবিতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর প্রধান রাকেশ আস্থানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন শক্তি কাপুর।