গোটা দেশ ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে জর্জরিত। চারিদিকে হাহাকার পরে গিয়েছে হাসপাতাল বেড, থেকে শুরু করে, অক্সিজেনের। এখনো পর্যন্ত পুরোদমে শুরু করতে পৰ যায়নি ভ্যাকসিন পর্ব। এরই মাঝে কিছুদিন আগেই এক ঘূর্ণিঘড়ের তাওকটে সম্পর্কে আগাম সূচনা মিলেছিল আবহাওয়া দফতরের তরফে। আরব সাগরে তৈরী হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় গোয়া, কর্ণাটক ও কেরালায় ব্যাপক ক্ষতি করেছে তাওকটে। অবশ্য এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলা।
তবে তাওকটের থেকে রক্ষা পেয়েও যেন স্বস্তি নেই! এক ঘূর্ণিঝড়ের সংকট কাটতে না কাটতেই আরও এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের খোঁজ মিলল। আবহাওয়া দফতর সূত্রে যেমনটা জানা যাচ্ছে তাউকটের ক্ষতিকারক প্রভাব না পড়লেও নতুন এই ঘূর্ণিঝড় সর্বশক্তি নিয়ে বাংলার দিকে তেড়ে আসছে। নতুন এই ঘূর্ণি ঝড়ের নাম হল যশ যা তাউকটের থেকে তো শক্তিশালী বটেই। এমনকি গতবছর বাংলায় আছড়ে পড়া বিধ্বংসী আম্ফানের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর।
যেমনটা জানা যাচ্ছে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরী হওয়া এক নিম্নচাপের জেরেই এই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি। এটি সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে দিন দিন বাড়তে থাকা তাপমাত্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ বঙ্গে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি ছুঁয়েছে, তবে এটা আরও বেড়ে ৩৯ ডিগ্রি পর্যন্ত যেতে পারে।
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে এইমুহূর্তে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে দুদিন পরে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। আর এরপর ২৩শে মে নাগাদ বঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। যা গতবছরের আম্ফানের থেকেও মারাত্মক হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গতবছর আম্ফানের জেরে রীতিমত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল স্বাভাবিক জনজীবন। রাস্তাঘাটে চারিদিকে গাছ পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যাতায়াত ব্যবস্থা। অন্যদিকে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। যার জেরে দুই থেকে তিনদিন বিদ্যুৎহীন ছিল মহানগর কলকাতা। এমনকি ১০-১২ দিন লেগেছিল সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হতে।