অভিনেতা সুমিত গাঙ্গুলিকে (Sumit Ganguly) আমরা সকলেই চিনি। পর্দায় তার অভিনয়ে ভয় ধরেনি এমন মানুষ বোধহয় হাতে গোনা। বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় খলনায়ক তিনি। প্রায় তিনশোর বেশি বাংলা সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয় করে সেরা ‘ভিলেন’ হিসেবে নিজের জায়গা পোক্ত করে নিয়েছেন অভিনেতা। প্রসেনজিৎ, জিৎ, দেব সহ আরো সমস্ত প্রথম সারির নায়কদের বিপরীতে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘খলনায়ক’।
কিন্তু খলনায়ক হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে উঠুক তা কখনোই চাননি অভিনেতা। আর সকল অভিনেতার মতোন তারও চোখ ভরা স্বপ্ন ছিল নায়ক হওয়ার। কিন্তু নায়ক হতে চেয়ে প্রথমদিকে পরিচালক প্রযোজকদের থেকে কেবল অবজ্ঞা, অপমানই জুটেছে সুমিত গাঙ্গুলির। খলনায়ক না হলে হয়ত বাস্তব জীবনে থিয়েটার করেই কাটিয়ে দিতেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা তার। থিয়েটারের সঙ্গে যুক্তও সেই শৈশব কাল থেকেই। নায়ক হওয়া যখন আর হল না তখন খলনায়কের ভূমিকা দিয়েই অভিনয় জগতের যাত্রা শুরু করলেন। যদিওবা এরপর তাঁকে পেছন ঘুরে তাকাতে হয়নি কোনদিনই। ১৯৯৫ সালে “কেঁচো খুঁড়তে কেউটে” সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু হয় তাঁর।
উঁচু, লম্বা সুঠাম চেহারা হলেও গায়ের রঙ আর সমাজের চোখে সুদর্শন না হওয়ায় নায়ক হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে তার। ভাগ্যের ফেরে তিনি খলনায়ক। কিন্তু বাস্তব জীবনে তিনি বেজায় ভালো মানুষ। প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই তাঁর সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনার কোপে অনান্য পেশা গুলোর মতোই এক বিরাট ধাক্কা খেয়েছে বিনোদন জগত।কারণ পেট বড় বালাই!আর তাই করোনার কোপে কাজ হারিয়ে কার্যত অথৈ জলে পড়েছেন বিনোদন জগতের একাধিক কলাকুশলী। কমবেশি সবাই এই একই সমস্যার সম্মুখীন হলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মুখ ফুটে বলে উঠতে পারেন না সকলে।লকডাউনে কাজ হারিয়ে আজ এমনই এক দিশেহারা অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাংলা সিনেমা জগতের জনপ্রিয় খলনায়ক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Sumit Ganguly)।
সম্প্রতি এই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি৷তবে সেখানে তিনি শুধু নিজের কথা লেখেননি সেই সাথে নিজের সকল সহ অভিনেতাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন তিনি৷বর্তমান এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিনোদন জগতের একজন প্রতিনিধি হিসাবে শিল্পীদের দৈনন্দিন জীবনের হতাশা,দুর্দাশা,মনের কষ্টসহ একাধিক দিক তুলে ধরেছেন অভিনেতা৷