শেষ ছবি এসেছিল ২০২০ সালে, নাম ‘এসওএস কলকাতা’। হ্যাঁ যশ দাশগুপ্তের (Yash Dasgupta) কথাই বলছি। সম্প্রতি যশ ও এনা সাহার (Ena Saha) ছবি ‘চিনেবাদাম’ (Chine Badam) মুক্তি পেতে চলেছে। কিন্তু মুক্তির আগেই শিরোনামে উঠে এসেছে ছবিটি। অবশ্য ছবি বললে হয়তো ভুল বলা হবে, অভিনেতা যশকে নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্কের। কেন? কারণ রিলিজের কয়েকদিন বাকি থাকা অবস্থায় ছবি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
যশের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। ছবি থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ থেকে এভাবে সরে যাওয়া নিয়ে শুরু হয় বিতর্কের। অভিনেতা নিজে টুইট করে জানান, ‘ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্স’ থাকার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে ছবিতে প্রাণ দিয়ে কাজ করেছেন তাই চাইবেন ছবি সফল হোক, কিন্তু তিনি নিজেই আর ছবির সাথে যুক্ত থাকতে চান না।
যদিও পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক জানান, ‘আজকের দিনে দাঁড়িয়েও তিনি চান যে শ্যাম্পু করা চুল উড়বে পিছন থেকে ধোয়া উড়বে! কিন্তু এসব তো পরিচালক চান না, এটা অভিনেতার আগে থেকেই জানা। এমনকি কালো ছেলে কেন তাঁর সীনে নাচবে সেটা নিয়েও যদি আপত্তি থাকে তাহলে আর কিছু বলার নেই।’ এমনকি সাংবাদিক বৈঠকেও প্রযোজক জানান টাইটেল ট্র্যাক দেখে যশ প্রশ্ন করে বসেন ‘কে এই কালো ছেলেটা?’
এরপর টলিপাড়ার অনেকেই এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন। প্রযোজক রানা সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘টাকা পেয়ে গেছি আর কি চাই, এবার প্রোডিউসার মরুক।’ এরপর মুখ খুলেছেন অভিনেতা সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় (Sujoy Prasad Chatterjee) ও জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Joyjit Banerjee)। মূলক পরিচালকের বলা ‘কালো ছেলে’ এর কারণে ছবিটি প্রচারে আপত্তি নিয়েই সরব হয়েছেন টলিপাড়ার ব্যক্তিত্বরা।
সুজয় প্রসাদ যশের উদ্দেশ্যে জানান, ‘ছবিতে একটা দৃশ্য ‘কালো ছেলে’ থাকার কারণেই নাকি প্রচারে থাকেন নি যশ। এই আচরণ আদৌ ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্স? আশা করি নেটিজেনরা রূপঙ্করের মতোই এই ক্ষেত্রেও বিচার করবে। সাথে বিনোদন জগতের বাকিদের এক হওয়ার কথা বলেন তিনি।’ তবে অভিনেতার সাথে তথাগত মুখোপাধ্যায় মুখোপাধ্যায় সহমত হতে পারেননি। অন্যদিকে জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘না আছে যশ নাচে প্রতিপত্তি তাঁর আবার কালো ছেলে নিয়ে সমস্যা!’