বাংলা বিনোদন জগতের জনপ্রিয় নাট্য ব্যক্তিত্ব তথা অভিনেতা হলেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় (Sujayprasad Chatterjee)। পর্দায় সাবলীল অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজের আশেপাশে ঘটে চলা নানান বিষয়ে এই অভিনেতার লেখনীও মুগ্ধ করে সকলকে। প্রসঙ্গত শীত পড়তেই চারদিকে এখন বিয়ের মরশুম। তাই সাধারণ মানুষ হোক কিংবা সেলেব্রেটি সকলেই চেটেপুটে উপভোগ করছেন বিয়ে বাড়ির মজা।
ব্যতিক্রম নয় বিনোদন জগতের এই জনপ্রিয় অভিনেতাও। সম্প্রতি কাছের এক বন্ধুর বিয়েতে (Marriage) হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ধূসর পাঞ্জাবি আর গোলাপি ধুতি পরে একটি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেতা। সেইসাথে বিয়ে নিয়ে সমাজে যে প্রচলিত ধারণা রয়েছে তার থেকে খানিকটা আলাদা রকমের মত প্রকাশ করেছেন অভিনেতা।এদিন বিয়ে নিয়ে অভিনেতার মনে ভীড় করে এসেছে এক গুচ্ছ প্রশ্ন।
যা এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে দিয়েই সকলের সামনে তুলে ধরেছেন অভিনেতা। বিয়ে নিয়ে মনের মধ্যে তৈরী হওয়া প্রশ্ন গুলো তুলে ধরার পাশাপাশি সম্পর্ক, বন্ধুত্ব ইত্যাদি বিষয়ে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করেছেন অভিনেতা।প্রসঙ্গত আমাদের সমাজে আজও সমকামী শব্দটা কানে এলেই ভ্রু কুঁচকে যায় অনেকেরই। কিন্তু অভিনেতা সুজয়প্রসাদ মুখার্জী বরাবরই সোজাসাপ্টা কথা বলেন। আর এদিন অভিনেতা মুখ খুললেন নিজের জীবনের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে।
জীবনে একাধিক প্রেমের প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টের শুরুতেই অভিনেতা লিখেছেন ‘”বেলাশেষে” যে বছর মুক্তি পেলো, সেই বছর বিয়ে করার জন্য সব থেকে বেশী অনুরোধ এসেছিল আমার কাছে’। এরপরেই তিনি জানান ‘কোনো এক ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট বিজ্ঞাপন করতে চেয়েছিল। এমনকি তাদের বাড়ির ল্যান্ড ফোনে ফোন করেও অনেকেই অভিনেতার মায়ের কাছে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিতেন। ফেসবুক মেসেঞ্জারেও প্রেম নিবেদন করতেন অনেকে। অভিনেতার কথায় একটি মেয়ে প্রায়ই আমায় লিখতো, “আপনাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না”।
এরপরেই অভিনেতার দাবি করেন ‘পুরুষদের প্রেম নিবেদনের ভাষাটা একটু আলাদা হয়। আমি অনেক বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম। কিন্তু দেখেছি সেই সব পুরুষদের কোনও অবস্থান ছিল না। আমি কখনও কারও ঘর ভাঙিনি। কিন্তু বিয়েটা আমার কাছে রূপকথার গল্পের মতো। যা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া যায়।’
কিন্তু সুজয়প্রসাদ জানিয়েছেন এখনও তার কয়েজন বন্ধু উপযুক্ত পাত্রের সাথে তার বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু তিনি সেসব পাত্তা দেননি না। এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে অভিনেতা বলেছেন ‘মাঝে মধ্যে মনে হয় কোথাও কি অসম্পূর্ণতা রয়ে গেল? আমার তো কোনদিন বিয়ে হবে না। সামাজিক স্বীকৃতি পাব না। এটা কি তবে একটা অসম্পূর্ণতা? তারপরই মনে হয় এটা তো কেবল একটা সামাজিক অনুষ্ঠান। বন্ধুত্বযাপনের সঙ্গে এটার কোনও সম্পর্ক নেই।’