যেদিকে দেখা যায় সেদিকেই দক্ষিণী ছবি নিয়ে চলছে আলোচনা। বলিউডকে টেক্কা দিল দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি এসব নিয়েই চলছে চর্চা। তবে এসবের মাঝে বাংলা ছবি ইন্ডাস্ট্রি বা টলিউড (Tollywood) কেমন আছে? দিন দিন কেন কমে যাচ্ছে বাংলা ছবির জনপ্রিয়তা? এসব নিয়ে খুক একটা প্রশ্ন শোনা যায় না। তবে সম্প্রতি টলিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বিস্ফোরক অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী (Sudipta Chakraborty)।
সেই মহামারী শুরু হওয়ার পর্ব থেকে টলি-বলি-দক্ষিণী সমস্ত ইন্ডাস্ট্রিরই একাধিক ছবি মুক্তি আটকে ছিল। এরপর একে একে সব ছবি মুক্তি পেয়েছে। একাধিক বাংলা ছবিও মুক্তি পেয়েছে, যার মধ্যে অনেক ছবি ভালো ব্যবসাও করেছে। এমনকি আগামী দিনেও অনেক এমন ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে যা দেখার জন্য দর্শকেরা মুকিয়ে রয়েছে।
বর্তমানে টলিউডের তারকা থেকে বাঙালি দর্শক সবাই বলছেন বাংলা ছবি দেখতে। এতে অবশ্য ক্ষতি কিছুই নেই বরং আদতে লাভই হবে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির। কিন্তু মুশকিল হল মুখে ভালো কথা বললেও ভেতরে ভেতরে চলছে ষড়যন্ত্র। এবার টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের এই দুমুখো স্বভাব নিয়েই সরব হলেন অভিনেত্রী। ফাঁস করলেন ভেতরের আসল সত্যি, তাও একেবারে স্পষ্ট আর চাঁচাছোলা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।
ফেসবুকে একটি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, “বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান”, “দলে দলে বাংলা ছবি দেখুন” এই ধরণের কথাগুলো আজকাল খুব শিশু সুলভ লাগে। রান্নার লোক হোক বা রেস্তোরার কুক কষ্টকরই রান্না করেন দুজনে কিন্তু খেতে খারাপ হলে তো সেটা রিজেক্ট করে দুকথা শুনিয়ে আসি। সার্ভিস ভালো না হলে সোশ্যাল মিডিয়াতে বদনাম করি। বন্ধুদের মানা করি যে যেতে বা খাবার খেতে। তাহলে সিনেমার ক্ষেত্রে সেটা বাদ যাবে কেন?
অভিনেত্রীর মতে, একদিকে বাংলা ছবি ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচানোর জন্য ডাক দিচ্ছেন অনেকেই। অন্যদিকে ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে নিজেরাই একে অপরের পা টানাটানি করছে। দুটো জিনিস টি ওআর একসাথে হয় না। যারা তুলনামূলকভাবে ছোট শিল্পী বা পরিচালক তাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে হেয় করে ইন্ডাস্ট্রির বড় পরিচালক তথা তারকাদের প্রশংসা চলছে। এতে আদতে ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হচ্ছে বলেই মনে করেন সুদীপ্তা।
স্বাভাবিকভাবেই অভিনেত্রীর এমন চাঁচাছোলা স্পষ্ট মন্তব্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অনেকেরই। টলিউডের একাধিক তারকা থেকে শিল্পীরা অভিনেত্রীর সাথে মতের মিলও খুঁজে পেয়েছেন। অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কমেন্ট করে জানিয়েছেন নিজেদের সম্মতি। সাথে সত্যি কথাটা সাহস করে স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরার জন্য কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজিনরাও।