সুদীপা চ্যাটার্জী (Sudipa Chatterjee) মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে জি বাংলার রান্নাঘরের (Zee Banglar Rannaghor) হরেক রকম রান্নার রেসিপি, আর তাঁর অনবদ্য সঞ্চালনা। আর সুপার এই অনুষ্ঠান যাঁরা দেখেন তাঁরা প্রত্যেকেই কমবেশি জানেন খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি শাড়ি,গয়নার বিষয়েও ভীষণ সৌখিন সুদীপা। সাবেক সাজ, ভারী সোনার গহনা ছাড়া তাকে দেখাই যায়না।
সুদীপার একমাত্র ছেলে আদিদেব চট্টোপাধ্যায়। তারই এক বিশেষ দিন আজকে। এদিন আদিদেবকে ২২ ক্যারেটের সোনার পৈতে পরিয়ে সুদীপা জানালেন, ‘উপনয়ন বর্ণভেদ ও গর্বের জন্ম দেয় না’। সোনার পইতে পরে বেজায় খুশি একরত্তিও। উপবীত বা পৈতে ধারণ করে মায়ের ইন্সটাগ্রাম রিলসে বেশ পোজ ও দিয়েছেন খুদে।
খালি গা, পরনে খাটো ধুতি, আর তাতেই পরেছেন সোনার পৈতে। তার এক গুচ্ছ ছবি শেয়ার করে সুদীপা ক্যাপশনে লিখেছেন, “Kids threads maid by 22 carat gold”। আর ছেলেকে সোনার পইতে পরানোর মজা এখানেই মাটি করে ফেলেছেন সুদীপা। কেননা ক্যাপশনে ‘Made’ বানানটি যে এক্কেবারে ভুল লিখেছেন তিনি। আর তা দেখেই হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন নেটিজেনদের একাংশ।
তবে ফেসবুক পোস্টে, ছেলেকে পৈতে পরিয়ে ” সংস্কার সম্পর্কে নিজের উপলব্ধির কথা লিখেছেন তিনি। এও জানিয়েছেন আগেকার দিনের মানুষ সোনার পৈতে পরতেন। তিনি লিখেছেন, “একটি শিশু জন্মানোর অনেক আগে থেকেই তার বাবা-মা,দাদু-ঠাকুমা,দিদিমা,পিসিমা,আত্মীয়-স্বজন,সবাই মিলে তার মঙ্গলকামনায় নানান কিছু করে থাকেন। একেই বলে ‘সংস্কার’। প্রাচীন মুনি-ঋষিরা তাই ‘দশবিধ সংস্কার’ এর কথা বলে গ্যাছেন। যেমন- মানবীয় গুণসম্পন্ন সন্তানলাভের আশায়- ‘গর্ভধারণ’, ’পুংসবন’, ‘সীমান্তায়ন’…. সন্তানের বুদ্ধি,মেধা বৃদ্ধির আশায়- ‘জাতকর্ম’… সন্তান জন্মানোর ৬/১০/১১/১২/২১/ কিংবা ১০০ তম দিনে-‘নামকরন’… সুস্বাস্হের আশায় ও প্রকৃতির সাথে পরিচিত করাতে- ‘অন্নপ্রাশন’… বিদ্যারম্ভের আগে,মাথার চুল ফেলে দেওয়া- ‘ চূড়াকরন’ ও বিদ্যারম্ভের অনুষ্ঠান ও তৃতীয় নয়নের উন্মোচনের আশায়- ‘উপনয়ন’। এছাড়া রয়েছে- বিদ্যাশেষে ‘সমাবর্তন’ ও সবশেষে-‘বিবাহ’। ”
View this post on Instagram
তিনি আরও বলেন, “অনেকেই মনে করেন- উপনয়নের দিন পরা পৈতে,আসলে বর্ণবিভেদ ও অহংকারের জন্ম দেয়। কিন্তু,ব্যাপারটা ঠিক তার উল্টো। পৈতে- পৈতেধারীকে বারবার মনে করিয়ে দেয়,সমাজে তার ধর্ম(পুজো নয় কিন্তু? এখানে দায়-দায়িত্বের কথা বলা হচ্ছে) পালনের কথা। তার শিক্ষার কথা। তার বিদ্যার কথা। মানুষের মধ্যে তার বিদ্যার্জনের ফলে প্রাপ্ত শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা। “