সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (Sudipa Chatterjee) নাম শুনলেই বাংলার বেশিরভাগ মানুষের মাথায় প্রথমে ‘রান্নাঘর’এর কথাই আসে। জি বাংলার জনপ্রিয় এই রিয়্যালিটি শো সঞ্চালনা করে বাংলার প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। আদায় করে নিয়েছিলেন ‘কিচেন ক্যুইন’ এবং ‘রান্নাঘরের রানী’ তকমা। এখন অবশ্য সেই শো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও সঞ্চালিকার জনপ্রিয়তা কিন্তু একটুও কমেনি।
সুদীপা সামাজিক মাধ্যমে বেশ সক্রিয় থাকেন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমেই অনুরাগীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখেন তিনি। নিজের কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানান আপডেট এখানেই শেয়ার করেন ‘রান্নাঘর’ সঞ্চালিকা। সম্প্রতি যেমন একটি দীর্ঘ পোস্ট করে ‘সন্তান’ ভানুকে (Bhanu) হারানোর শোক প্রকাশ করেছেন তিনি।
এক বছর হয়ে গিয়েছে সুদীপার ‘সন্তান’ ভানু ইহলোক ছেড়ে পরলোক গমন করেছেন। কিন্তু মায়ের মন বলে কথা! এখনও সেই কষ্ট কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। একসময় তাঁর পুরো জীবন জুড়ে ছিল এই ভানু। যার পুরো নাম ভানুভূষণ চট্টোপাধ্যায় (Bhanubhushan Chatterjee)। চারপেয়ে পোষ্যকে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতেন সুদীপা।
তবে সেই ভানু অকালেই সুদীপার কোল ফাঁকা করে চলে যায়। যথাসময়ে চিকিৎসকের (Doctor) কাছেও নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসক নাকি কোনও সহযোগিতাই করেননি। ভানুর মৃত্যুদিনে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে সেকথাই জানিয়েছেন ‘রান্নাঘরের রানী’।
ভানূর সঙ্গে একটি মিষ্টি ছবি শেয়ার করে সুদীপা লিখেছেন, ‘এক বছর হয়ে গেল তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছ। যখন ইচ্ছা তখন তোমায় জড়িয়ে ধরতে পারি না, তবে তোমার অস্তিত্বের কথা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি। মা তোমায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। আমি চাই না তুমি ফিরে এসো। তুমি জানো সেই কারণটা। যতদিন না আবার দেখা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত মায়ের তরফ থেকে ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ রইল’।
এরপরই চিকিৎসকের গাফিলতির কথা উল্লেখ করে সুদীপা লেখেন, ‘সেই চিকিৎসক যিনি নিজের অযথা সময় নষ্ট করেছিলেন তাঁকে আমি কোনও দিন ক্ষমা করব না। বাকিদের দেখতে গিয়ে তোমাকে মৃত্যুর জন্য ফেলে রেখেছিলেন। অর্থলোভী সেই চিকিৎসককে আমরা কোনোদিন ক্ষমা করব না। কথা দিচ্ছি। আমি সেই চিকিৎসকের নাম খোলসা করব না। আমি ভগবানের হাতে ছেড়ে দিলাম। উনিই ঠিক শাস্তি দেবেন’।