সকলেরই খুব প্রিয় শিল্পী তথা বিখ্যাত গায়ক কেকে (KK) কে নিয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন উত্তাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। কারণ মঙ্গলবার কলকাতায় এক শো করতে এসে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। তবে এমন একজন গায়ককে তাঁর আগের দিনেই ‘অপমান’ করেছিলেন আরেক বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi)। তাই কেকের মৃত্যুর পর রীতিমত রূপঙ্করের ওপর ক্ষোভে ফেটে পরে নেটপাড়া। এরপর বিতর্ক মেটাতে চার দিন পেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
কিন্তু রূপঙ্কর বাগচী সংবাদিক বৈঠকে ক্ষমা চাইলেও সেটা নিয়ে সেভাবে সন্তুষ্ট হয়নি নেটিজেনরা। এমনকি নেটিজেনরা তো বটেই ইন্ডাস্ট্রির বাকি গায়ক তথা শিল্পীদেরও এই ক্ষমা চাওয়াটা যেন যথেষ্ট বলে মনে হয়নি। এর আগে একাধিক ব্যক্তি রূপঙ্করবাবুর বিপক্ষেই কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ তাঁর পক্ষ নিয়ে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন। তবে এবার গায়কের বিরুদ্ধে কিছু প্রশ্ন নিয়ে সরব হলেন টেলি অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায় (Sudip Mukherjee)।
সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে ভদ্রভাবেই গায়ককে প্রশ্নবানে তুলোধোনা করেছেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়। অবশ্য এই প্রথম নয়, এই আগেও কেকে বিতর্কে নিজের মন্তব্য রেখেছিলেন তিনি। তবে বিতর্ক চরমে ওঠার পর রূপঙ্করের ক্ষমা চাওয়ার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আদৌ মন থেকে ক্ষমা চেয়েছেন তো তিনি?
কেন এমন ধারণা? কারণটাও জানিয়েছেন তিনি। এদিন অভিনেতা বলেন, ঢাক ঢোল পিটিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ক্ষমা চেয়েছেন ঠিকই, তবে কোথাও কি বলেছেন যে তিনি ভুল করেছেন? তিনি বার বার বলেছেন যে তিনি যেটা বলতে চেয়েছিলেন সেটা মানুষ বুঝতে ভুল করেছে। বাঙালির আবেগকে প্রভাবিত করতে চেয়েচিলেন মাত্র তিনি। কটাক্ষের সুরেই অভিনেতা জানান, ‘আমরা বাঙালিরা তাহলে এতটাই বোকা গাধা যে ওঁর বক্তব্য আমরা কেউ বুঝতে পারিনি’।
অবশ্য এইখানেই শেষ নয়, কটাক্ষের আরও বাকি রয়েছে। যে ভিডিওটির জন্য বিতর্ক শুরু হয়েছিল রূপঙ্করের সেই ভিডিওতে আড়াই মিলিয়ন পর্যন্ত ভিউ উঠেছিল। যেখানে দুএকজন বাদে প্রায় প্রত্যেকেই তাকে খিস্তি দিয়েছে। অথচ ভিডিওটা মনিটাইজড ছিল। অর্থাৎ ভিডিও দেখলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা পেয়েছেন তিনি। সেই কারণে কটাক্ষের সুরেই বলেন, ‘খিস্তি শুনে টাকা রোজগার করছেন রূপঙ্কর!’ নাহলে ভিডিওটা তো অনেক আগেই ডিলিট করে দিতে পারতেন।
প্রসঙ্গত, রূপঙ্কর বাগচীর ক্ষমা চাওয়ার পরেও তাকে নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়ে যায়নি। ক্ষমা চাওয়ার পরেও তাকে কটাক্ষ করা চলছেই সোশ্যাল মিডিয়াতে। এমনকি এরপর গায়কের স্ত্রীও কবিতার মধ্যে দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।