আজও সুচিত্রা সেনকে (Suchitra sen) পর্দায় দেখলে যুবক মনে বুক দুরদুর শুরু হয়ে যায়। ওমন সৌন্দর্য আর দ্বিতীয় তৈরি হয়নি। আজকালকার যুগের মতো তখন তো আর রঙিন ছবির এত রমরমা ছিলনা তবুও সুচিত্রা সেনের সৌন্দর্য যেন সাদা কালো ফ্রেমেও ঠিকরে বেরুতো।
মহানায়ক উত্তম কুমারের (Uttam kumar) সঙ্গে তার জুটি আজও ‘চিরসবুজ’। কত জুটিই এলো গেল, কিন্তু কেউই উত্তম-সুচিত্রাকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি আজও। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে প্রথম একফ্রেমে দেখা যায় এই জুটিকে। কিন্তু এক কালের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর শেষ জীবনটা বেশ রহস্যময়।
অভিনেত্রীর জন্ম হয়েছিল সেই সময়ের পূর্ববঙ্গের পাবনা জেলায়। জন্মের পর মা বাবা নাম রেখেছিলেন রমা দাশগুপ্ত (Rama Dashgupta)। কি অবাক হলেন? সুচিত্রা সেন কিন্তু অভিনেত্রীর আসল নাম নয়। নিজের নাম পরিবর্তন করেই সুচিত্রা হয়েছিলেন তিনি।
শিক্ষক পরিবারে জন্ম হয়েছিল অভিনেত্রীর। ১৯৪৭ সাল অর্থাৎ স্বাধীনতার বছরেই এক ব্যবসায়ী আদিনাথ সেনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন আজকের সুচিত্রা সেন। তবে বিয়ের পরেও বেশ কিছুটা সময় লেগেছিলো তার অভিনয় জগতে আসতে।
সালটা ১৯৫২ প্রথম অভিনয়ের জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন। নিজের রমা সেন নাম পাল্টে সুচিত্রা নামেই শুরু করেন অভিনয় জীবনের পথ চলা। সুচিত্রা সেনের প্রথম ছবি ছিল ‘শেষ কোথায়’।
এরপরের বছরেই উত্তমকুমারের সাথে অনবদ্য ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তরে’ অভিনয় করেন সুচিত্রা সেন। সেই যে শুরু হল এরপর থেকে কোনোদিন পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেত্রীকে।
সেই সময়েও তার সৌন্দর্য হার মানাবে এখনকার টপ অভিনেত্রীদেরও। কখনও খোলা পিঠে আবেদনময়ী চোখে ক্যামেরায় তাকিয়েছেন তিনি, কখনও বা কেবল টাওয়াল জড়িয়ে হেসেছেন সেই মুক্তো ঝরানো হাসি। সেই সময়েও এমন বোল্ড লুকে যথেষ্ট সাবলীল ছিলেন অভিনেত্রী। তাই আজ আপনাদের জন্য বং ট্রেন্ডের পর্দায় রইল সুচিত্রা সেনের এই অদেখা ছবিগুলি।