টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রীর জনপ্রিয় অভিনেতা শুভাশিস মুখার্জি (Subhasish Mukherjee)। নিজের দুর্দান্ত অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে কয়েক দশক ধরে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে আসছেন অভিনেতা। মূলত কমেডিকে নিজের অভিনয়ের সাথে মিশিয়ে আলাদাই মাত্রা এনে দিয়েছিলেন বাঙালির বিনোদনে। সেই থেকে আজও নিজের অভিনয়ের জন্য ছোট থেকে বড় সমস্ত বয়সের দর্শকদের কাছে পছন্দের অভিনেতা তিনি।
১৯৮৭ সালে পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘ছোট বকুলপুরের যাত্রী’ ছবি দিয়েই শুরু হয়েছিল অভিনয়ের যাত্রা। তবে শুরুতেই প্রধান বা মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলেনি। প্রথমদিকে কমেডি চরিত্র ও সাপোর্টিং চরিত্রেই দেখা যেত অভিনেতাকে। তবে ধীরে ধীরে তাঁর অভিনয় সকলের মনে ধরতে শুরু করলে বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় মুখে পরিণত হন শুভাশিস মুখার্জী। এরপর একাধিক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন এমনকি বেশ কিছু সিরিয়ালেও দেখা মিলেছে তাঁর।
সম্প্রতি জি বাংলার দাদাগিরিতে হাজির হয়েছিলেন শুভাশিস মুখার্জী। এসে নিজের অভিনয় জীবনের শুরুর কথা সকলের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা। দাদা অভিনেতাকে তাঁর প্রথম আয়ের কথা জানতে চেয়েছিলেন। যার উত্তরে অভিনেতা জানান, ঠিক কতটাকা মেয়েছিলেন তা মনে নেই। তবে সেই প্রসঙ্গে নিজের একটি কষ্টের কাহিনী শেয়ার করেছিলেন তিনি।
শুভাশিস মুখার্জী জানান, একসময় একটা ছবিতে অভিনয় করে চার জনের জন্য ১০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সেখানে চিৎকার করে প্রতিবাদের দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছিল। বোঝার অপেক্ষা রাখে না মাত্র ২৫টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন অভিনেতা। যদিও পরিচালকের নাম মুখে আনেননি অভিনেতা। তবে অভিনেতা হয়েও যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল সেটা বোঝাতে ঠিকই পেরেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, লিড চরিত্রে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১১ সালের ‘টেনিদা’ ছবিতে। অবশ্য এরপরেও একাধিক ছবিতে দকেহা গিয়েছে। ভিন্ন ধরণের কাহিনী অবলম্বনে তৈরী ছবি, মহালয়া ও প্রফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডোতে দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। কমেডি চরিত্রের বাইরে এই ছবিগুলিতে নিজের অভিনয়ের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। এগুলি ছাড়াও বর্তমানে ‘জড়োয়ার ঝুমকো’ সিরিয়ালেও দেখা যাচ্ছে অভিনেতাকে।