এই মুহূর্তে টলিউডের (Tollywood) ব্যস্ততম অভিনেত্রী হলেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি (Subhashree Ganguly)। দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে পার করে ফেলেছেন ১৬ বছরের অভিনয় জীবন। একটা সময় চুটিয়ে কাজ করেছেন ‘চ্যালেঞ্জ’,’পারণ যায় জ্বলিয়া রে’,’খোকাবাবু’, ‘খোকা ৪২০’-এর মতো একাধিক সুপারহিট কমার্শিয়াল বাংলা সিনেমাতেও।
অভিনয়ের দিক থেকে নিজেকে এখন একেবারে ভেঙে চুড়ে ফেলেছেন অভিনেত্রী। তাই ছক ভেঙে শুভশ্রী এখন অভিনয় করছেন একেবারে অন্য ধরনের চ্যালেঞ্জিং সব চরিত্রে। ইদানিং চরিত্র বাছাইয়ের আগে শুভশ্রী সবসময় এমন চরিত্রের সন্ধানে থাকেন যে চরিত্রগুলো তাঁর রাতের ঘুম উড়িয়ে দেয়। যার জন্য তাঁকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
তাই বক্সঅফিসের দৌড়ে সামিল হওয়ার বদলে শুভশ্রী বরাবরই বিশ্বাসী পারফরম্যান্সে। প্রসঙ্গত গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালটা ছিল শুভশ্রীর সিনেমায় ঠাসা। একের পর এক মুক্তি পেয়েছে লকডাউনে আটকে থাকা সিনেমা ‘হাবজি-গাবজি’, ‘ধর্মযুদ্ধ’, ‘বিসমিল্লাহ’, ‘বৌদি ক্যান্টিন’-এর মতো ভিন্ন স্বাদের একগুচ্ছ সিনেমা। প্রত্যেকতা ছবির জন্যই নিজেকে নতুন করে গড়ে-পিটে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
একসাথে আটকে থাকা একাধিক সিনেমা মুক্তির পাশাপাশি একাধিক নতুন কাজে হাত দিয়েছেন শুভশ্রী। ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ সিরিজের সুবাদে ইতিমধ্যেই ডেবিউ করেছেন ওটিটি-তে। অন্যদিকে নতুন বছরেই অফিশিয়ালি নিজেকে প্রযোজক হিসেবে ঘোষণা করেছেন শুভশ্রী। স্বামী রাজ চক্রবর্তীর নতুন সিরিজ ‘আবার প্রলয়’-এর প্রযোজনা করছেন তিনি। অন্যদিকে নতুন বছরের শুরুতেই অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে শুভশ্রীর নতুন সিনেমা ‘ডক্টর বক্সী’ (Doctor Bakshi)।
এখন এই সিনেমারই প্রচার চলছে জোরকদমে। প্রসঙ্গত ডাক্তার বক্সী ছাড়াও মুক্তি পেয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ এবং দ্বিতীয়ত ‘দিলখুশ’-এর মতো দুটি বাংলা সিনেমা। অন্যদিকে, মাত্র ৬ দিনের ব্যবধানেই আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী মুক্তি পেতে চলেছে বলিউড বাদশা শাহরুখ খান অভিনীত বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘পাঠান’।
বক্স অফিস নিয়ে কতটা চিন্তিত শুভশ্রী গাঙ্গুলী?
তাই বক্স অফিস হিট নিয়ে কতটা চিন্তিত নায়িকা? এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার মুখোমুখি হয়ে টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhashree Ganguly) বলেছেন ,’লক্ষ্মীলাভ নিশ্চয় দরকার। বক্সঅফিসের ব্যবসাতেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি চলে। বাংলা সিনেমা ভাল ব্যবসা করলে আখেড়ে সকলেরই লাভ। কারণ বহু মানুষের রুটি-রুজি এই ইন্ডাস্ট্রি। তবে বক্সঅফিস গোড়া থেকেই কখনও ভাবায়নি। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমার গোটা কেরিয়ারে ফ্লপ কিংবা গড়পড়তা ছবির সংখ্যা খুব কম। আমি সবসময়ে ব্লকবাস্টার ক্লাবেই থেকেছি। নিজেকে এজন্য ভাগ্যবান বলে মনে করি। যদিও এর কৃতীত্ব পরিচালক থেকে কলাকুশলী সকলের’।