বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেত্রী দের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhashree Ganguly)। তবে সময়ের সাথে সাথে এখন পাল্টে গিয়েছে অনেক কিছুই। তাই এখন ‘শুভ’ শুধুই টলিপাড়ার নায়িকা নন। বাংলার একজন সফল অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি আজ তিনি ইন্ডাস্ট্রির খ্যাতনামা পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) স্ত্রী। সর্বোপরি তিনি হলেন নেটিজেনদের নয়নের মণি ইউভানের (Yuvan) ‘সুপার কুল মাম্মা’।
তবে আজ শুভশ্রী নিজের কেরিয়ারে যে সাফল্য অর্জন করেছেন তার জন্য একসময় তাঁকে নিদারুণ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তবে ইতিপূর্বে একাধিক সাক্ষাৎকারে শুভশ্রী জানিয়েছেন তার ইনস্পিরেশান হলেন তার দিদি। শুভশ্রীতার কথায় ছোটবেলা থেকেই তাকে তার দিদি দেবশ্রী গাঙ্গুলীই (Debashree Ganguly) তাকে তার সব কাজে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন সারাক্ষণ ছোট বোন শুভশ্রীর পাশে থেকেছেন তার দিদি।
আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের মতোই নাকি প্রথমদিকে শুভশ্রীর বাড়ির তরফেও তার অভিনয় জগতে আসা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। এমনকি অডিশন দিতে যাওয়ার সময় নাকি তার বাবা সেসময় তুমুল বিরোধিতা করেছিলেন। শুধু নয় তার মাকেও নানান মান,অভিমানসহ অনেক কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছিল এই কারণে। শুভশ্রীর কথায় তার পরিবার ছিল আগাগোড়াই রক্ষনশীল প্রকৃতির।
তাই অডিশন দেওয়ার সুযোগ পেলেও বাড়ি থেকে লুকিয়ে আসতে হতো অভিনেত্রীকে। তার জন্য মাঝে মধ্যেই মার্কেটিং করার নাম করে এসে পৌছাতে না টলিপাড়ায়। এরপর সিলেক্টেড হয়ে যান। পরে অনেক কষ্টে বাবাকে রাজি করাতে পেরে ছিলেন শুভশ্রী। একেবারে মফস্বল থেকে উঠে আসলেও কিন্তু আজ শুভশ্রীকে গোটা বাংলার মানুষ চেনেন।
তবে শুভশ্রী যেদিন প্রথম অভিনয়ের জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন সেদিন শুভশ্রী বাবা আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে শুভশ্রীর একটি পুরনো ভিডিও। সেখানে সঞ্চালক দেবশংকর হালদারের (Debshankar Haldar) সাথে কথা বলার সময় নিজের প্রাক্তন প্রেমিক তথা টলিউড সুপারস্টার দেব অধিকারী (Dev Adhikari) প্রসঙ্গে একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী অকপটে জানান যে তিনি বেশ কিছু সময়ের জন্য অভিনয় থেকে সরে গিয়েছিলেন। টানা ৪ বছর অভিনয় থেকে নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। আসলে সেসময় দেবের সাথে ব্রেক আপ হয়েছিল শুভশ্রীর। তাই সেই সেসময়টা তিনি অভিনয় থেকে নিজেকে দূরেই সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও তিনি এই সিদ্ধান্তের জন্য নিজেকেই সম্পূর্ণরূপে দোষী মনে করেন। এইভাবেই বিচ্ছেদের পর নাম না করেই দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভশ্রীর আফশোষ যে কেন তিনি নিজের কেরিয়ারের চারটি বছর অপাত্রে দান করেছিলেন।