টলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের কথা উঠলে সবার প্রথমেই আসে অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলির (Subhashree Ganguly) নাম। টলিউডে দীর্ঘদিনের কেরিয়ারে অসংখ্য হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। সুপারস্টার অভিনেতা জিৎ,দেব, হিরণ, অঙ্কুশ সকলেরই নায়িকা হয়েছেন তিনি। এখন তাকে টলিপাড়ার ফার্স্ট লেডি বললেও ভুল হয়না। কেননা বিখ্যাত টলি পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) সাথে সাতপাক ঘুরে এখন রাজ রাজত্ব সবই তার। বছর খানেক হল মা হয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর একমাত্র পুত্র যুবান এখন রীতিমতো সেলিব্রিটি।
তবে একদিনে আজ এই জায়গায় পৌঁছাননি শুভশ্রী গাঙ্গুলি। টলিউডে তার কোনোও চেনা পরিচিত ছিল না, যে তাকে ঠিক জায়গা করে দেবে। বর্ধমানের সাধারণ ঘরের একজন মেয়ে থেকে আজকের শুভশ্রী গাঙ্গুলি হয়ে ওঠার পিছনে রয়েছে বিশাল স্ট্রাগল। বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ ইন্ডাস্ট্রিতে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাজ করছেন তিনি।
ছোট থেকেই আর ৫ টা মেয়ের মতো তারও ইচ্ছা ছিল নায়িকা হওয়ার। ছোটবেলায় অনেক মেয়েই এমন স্বপ্ন দেখে কিন্তু পূরণ করার জন্য পরিশ্রম করেনা। কিন্তু শুভশ্রী নিজের লক্ষ্য থেকে সরেননি কোনোদিন৷ ২০০৬ সালের ‘আনন্দলোক নায়িকার খোঁজে’ জিতে ছিলেন অভিনেত্রী। সেখান থেকেই তার শুরু।
কেরিয়ারের প্রথমে মা আর দিদি বাদে কারোর সাপোর্ট পাননি শুভশ্রী। কেননা একটা ছোট শহরের মেয়ে অভিনয়ে নামবেন একথা ভাবতেই পারেননি অভিনেত্রীর পরিবার। তবু হাল ছাড়েননি শুভশ্রী। প্রতিদিন বর্ধমান থেকে কলকাতা অব্ধি এসে অডিশান দিয়ে আবার বাড়ি ফিরে যেতেন তিনি।
তারপর হঠাতই প্রভাত রায় পিতৃভূমি সিনেমায় অডিশন দেওয়ার পর সুযোগ পান অভিনেত্রী। এই ছবিতে জিতের বোনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তখন জিতের নায়িকা ছিল স্বস্তিকা মুখার্জি। পরে আর বোন নয় খোদ জিতের নায়িকা হিসেবেই বহু ছবি করেন শুভশ্রী। ২০০৮ সালে বাজিমাত সিনেমা সোহম এর বিপরীতে অভিনয় করে নায়িকা হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন শুভশ্রী।
তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। নিজের প্রতিভার জোরেই সাধারণ পরিবারের সেই মেয়েটাই আজ রাজ করছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। খুব শিগগিরই কৌশিক গাঙ্গুলির ধুমকেতু ছবিতে দেখা যাবে তাকে।