বাংলা টেলি (Television) দুনিয়ার অত্যন্ত পরিচিত মুখ হলেন অভিনেত্রী সুভদ্রা মুখোপাধ্যায় (Subhadra Mukherjee)। তাঁকে বহু জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখেছেন দর্শকরা। সম্প্রতি স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘এক্কা দোক্কা’ (Ekka Dokka) ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা গিয়েছে। ডক্টর গুহর (প্রতীক সেন) পিসির চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই সেই ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়েন অভিনেত্রী।
রাতারাতি ধারাবাহিক থেকে সুভদ্রাকে সরিয়ে (Released) দেওয়ায় দর্শকরা বেশ অবাক হয়েছিলেন। কেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল সবার মনে ঘুরছিল এই একটি প্রশ্ন। অবশেষে সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সম্পূর্ণ বিষয়টি খোলসা করে জানান অভিনেত্রী। আর তাঁকে বাদ দেওয়ার কারণ শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছেন প্রত্যেকে।
গত ৬ মার্চ সুভদ্রার বাবা শান্তিগোপাল মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছে। অভিনেত্রীর বাবার পেলভিক বোন ভেঙে গিয়েছিল, ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতেও শ্যুটিং করেছেন সুভদ্রা। শান্তিগোপালবাবু সুস্থ হয়ে বাড়িও চলে এসেছিলেন। কিন্তু এরপর হঠাৎ করে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি।
সুভদ্রা জানান, ‘বাড়িতে ফিরে আচমকাই বাবার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। সেদিন বিকেলেই ৪টে নাগাদ আমার শ্বশুরমশাইকে হারাই। আমি একইদিনে দুই বাবাকে হারিয়েছি’। আর সেই জন্যই নাকি অভিনেত্রী ‘এক্কা দোক্কা’ থেকে বাদ পড়েন।
সুভদ্রার কথায়, বাবার প্রয়াণের পর তিনি তিন দিন সময় চেয়েছিলেন। কারণ সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী, বাবা-মায়ের প্রয়াণের ৩দিন পর বিবাহিত কন্যাদের কাজ করতে হয়। সেই জন্য তিন দিন সময় চান অভিনেত্রী। কিন্তু ‘এক্কা দোক্কা’র গল্প এমন পর্যায়ে ছিল যে তাঁকে সেই সময়টুকু দেওয়া যেত না।
সুভদ্রার কথায়, বাবাই ছিলেন তাঁর শিক্ষাগুরু। তাঁকে হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অশৌচ নিয়ে মেক আপ করা তাঁর পক্ষে একেবারেই সম্ভব ছিল না এবং সেই অমানবিকও। আর সেই জন্যই রাতারাতি সুভদ্রাকে ধারাবাহিক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।